• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক ব্যবসায়ীর কারাদন্ড


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৬, ২০২৩, ১২:০৮ অপরাহ্ন / ১৭২
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক ব্যবসায়ীর কারাদন্ড

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ১৪ নং- উজানী ইউনিয়নের বন্যাহাটি গ্রামে অবৈধভাবে কৃষিজমি ও সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অপরাধে উৎপল বিশ্বাস (৪৫) নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সাথে অবৈধ ড্রেজার মেশিন, পাইপ এবং মেশিনের সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি জব্দ করে উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল কান্তি বোসের জিম্মায় রাখা হয়। মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত জব্দকৃত মালামাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বন্যাহাটি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে এক অবৈধ বালু ও মাটি ব্যবসায়ীকে একারাদণ্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন মুকসুদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার সাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যগণ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার উজানী ইউনিয়নের বন্যা হাটি এলাকায় সরকারি ও কৃষিজমির মাটি কেটে দীর্ঘ সময় ধরে বিক্রি করে আসছিলো উৎপল বিশ্বাস। খবর পেয়ে বিকালের দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় আত্মঘাতী (মাটিকাটার মেশিন) দিয়ে খাল ও জমির মাটি কাটার বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ১৪ নং উজানী ইউনিয়নের বন্যাহাটি গ্রামের উৎপল বিশ্বাসকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু গণমাধ্যমকে জানান অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ডিসি স্যারের নির্দেশে উপজেলা ভূমি সরকারী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহাকে অভিযানে পাঠানো হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুযোগে একটি মহল অবৈধভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ফসলী জমির ক্ষতি করে ও সরকারি জায়গা থেকে মাটি কেটে ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলমের নির্দেশে জেলার সকল উপজেলা প্রশাসন এই চক্রকে প্রতিহত করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানাগেছে।