• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম মাধ্যম হবে পর্যটন—-পর্যটন প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩০, ২০২১, ৩:৫১ অপরাহ্ন / ১৫৩
গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম মাধ্যম হবে পর্যটন—-পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে পর্যটন হবে অন্যতম মাধ্যম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ উন্নয়ন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন দর্শনকে প্রতিফলিত করবে।

“মুজিববর্ষ” উপলক্ষে হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কতৃক রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও সোনারগাঁও হোটেল” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। দেশে পর্যটনের বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন তিনি। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে দেশীয় পর্যটক।

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর সেলিম জাহান তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন শিল্পকে দেশের উন্নয়নের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন। এই মহান নেতার কাছে পর্যটন ছিল মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্র। বঙ্গবন্ধু জানতেন বাংলাদেশের প্রকৃতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আতিথেয়তা এই সব সম্পদের সঠিক ব্যবহার পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি। পর্যটনের প্রসারে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান (সচিব) সত্যজিৎ কর্মকার, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া , সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ড. বশির আহমেদ, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আমিনুর রহমান খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া।