• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

খুলনা সড়কে ক্রটিপূর্ন যানবাহন চলছেই।


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৮, ২০২৩, ৩:৫০ পূর্বাহ্ন / ৮৫
খুলনা সড়কে ক্রটিপূর্ন যানবাহন চলছেই।

মোস্তাইন বিন ইদ্রিস চঞ্চল,খুলনাঃ খুলনা সড়কে ক্রটিপূর্ন যানবাহন চলছেই। শত কড়াকড়ি আইনের প্রয়োগ করেও নিয়ন্ত্রণ আনা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনুমোদন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অদক্ষ ও অপেশাদার চালকের অদূরদর্শিতায় যানবাহন চালনা, উচ্চ গতির বেপরোয়া গাড়ী চালনা, ওভারটেকিংসহ অনুমতির ব্যতিরকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো অবাদে ইজিবাইকের চলাচল সবমিলিয়ে খুলনার সড়কে ক্রমশঃই বাড়ছে দূর্ঘটনা, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। সড়কে বড়সড় কোনো দুর্ঘটনা বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষনিক নড়ে চড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সড়কে চলে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগের কঠোরতা। অনুমোদন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল বন্ধ, অদক্ষ ও অপেশাদার চালকের অদূরদর্শিতায় যানবাহন চালনা, বেপরোয়া গতির পাল্লাপাল্লি ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমাধানের জোড়ালে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য খুলনার সড়কে ট্রাফিক আইনের পুরাপুরি বাস্তবায়ণ দেখতে চায় সচেতন নগরবাসী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ এমনটাই জানিয়েছেন তারা। তবে খুলনার ট্রাফিক বিভাগ একেবারে যে ঝিমিয়ে পড়েছে তেমনি নয়, বিগত সালে কেএমপি ট্রাফিক বিভাগ খুলনা মহানগরীতে ট্রাফিক নিয়ম বর্হিভূত চলাচলে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮- অনুসারে মামলা করেছে ৯৯৭২ টি, যার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ কোটি, ১০ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। ফিটনেস বিহীন/মেয়াদ উত্তীর্ণ মোটরযান চলনার অপরাধে মামলা হয়েছে ৫৫৮টি, মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৫’শ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালনার অপরাধে মামলা হয়েছে ২৭৫৮টি, মামলার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৫’শ টাকা। হেলমেট বিহীন/নিরাপত্তাহীন ভাবে গাড়ী চালনা করার অপরাধে মামলা করা হয়েছে ৫৮৮১টি, যার বিপরীতে জরিমান হয়েছে ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। ঝুকিপূর্ন গাড়ী চালনার অপরাধে মামলা হয়েছে ৪১৪টি, যার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। ওয়ান ওয়ে রাস্তার বিপরীত হতে গাড়ী চালনার অপরাধে মামলা হয়েছে ৩৬১টি, যার বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। এছাড়া হর্ণ/হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোর অপরাধে কোনো মামলা না হলেও অপসারণ অব্যহত রয়েছে বলে তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করছেন কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার। খুলনার সড়কে শৃঙখলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক বিভাগ নিরালস করায় নগরবাসীর কাছে বাহ্ বাহ্ কুড়ালেও সম্পন্ন রুপে ট্রাফিক আইনের বাস্তবায়ণের ঘাটতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাগরিক নেতারা। অপরদিকে, খুলনা বিআটিএ সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের সংখ্যা রয়েছে ৩২৫০টি। ফিসনেস বিহীন যানবাহনের বিপরীতে খুলনা মহানগরীতে বর্তমানে নিবন্ধনকৃত যানবাহনের সংখ্যা সর্বমোট ৭২ হাজার ২০৪টি। যার মধ্যে এ্যাম্পুলেন্স ৮৪টি, অটোরিক্সা ২৬২২টি, অটোটেম্পু ১০৬টি, বাস ২৯৬টি, কার্গোভ্যান ৩০টি, কার্ভাড ভ্যান ৪৪৪টি, ডেলিভ্যান ১২০টি, হিউম্যান হুলার ৬৫টি, জিপ ৩১৫টি, মাইক্রোবাস ৪৪৬টি, মিনিবাস ২৯৩টি, মোটর সাইকেল ৫৯৭৭১ টি, পিকআপ ২৩৯৩টি, কার ১৩৪২টি, ব্যক্তিগত গাড়ি ৭২, ট্যাংকার ১২৬টি, ট্রাক্সিকাপ ১২৭টি, ট্রাক্টর ৪টি, ট্রাক ২৬১২টি,সহ অন্যান্য ৯৩৬টি এবং খুলনা জেলায় বর্তমানে বর্তমানে নিবন্ধনকৃত যানবাহনের সংখ্যা যানবাহনের সংখ্যা সর্বমোট ৪৩ হাজার ১৮৮ টি। যার মধ্যে এ্যাম্পুলেন্স ১৪টি, অটোরিক্সা ১০৭টি, অটোটেম্পু ২৭৪টি, বাস ১৬৫, কার্ভাড ভ্যান ৫টি, ডেলিভ্যান ১৫টি, হিউম্যান হুলার ৫৯টি, জিপ ২৩টি, মাইক্রোবাস ১৯টি, মিনিবাস ৯০টি, মোটর সাইকেল ৪১৯০৫ টি, পিকআপ ৫২টি, কার ৭০টি, ব্যক্তিগত গাড়ি ১২, ট্যাংকার ৪টি, ট্রাক্সিকাপ ১২৮টি, ট্রাক্টর ৪টি, ট্রাক ২২২টিসহ অন্যান্য ১৪টি। নিবন্ধনবিহীন বানিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ১৪৬০০ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা ৩২৫০টি। তবে বিআইটিএ ও ট্রাফিক বিভাগের কড়াকড়ি আইন ও নজরদারীর মধ্যে কিভাবে এই ফিটনেস বিহীন গাড়ি গুলো খুলনার সড়কে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

চারিদিকে ডিজিটালের ছোয়া লাগলেও খুলনা সড়ক, মহাসড়কে এখনো সেই জরাজীর্ণতা ও লক্কড়-ঝক্কড় কিছু যানবাহন দৃশ্যমান। সড়কে অনুমোদন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালনা, অদক্ষ ও অপেশাদার চালকের যানবাহন চালনা, দুর্ঘটনারোধ, মৃত্যুর মিছিল বন্ধসহ বিবিধ ট্রাফিক ব্যবস্থাপণার আইন বর্হিভূত বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই, বিভিন্ন সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, এনজিও ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ একাধিক সভা-সেমিনার, কর্মপন্থা ও সুপারিশমালা, নীতিরীতি করলেও বাস্তবে তার রুপদান পাচ্ছে না। ফলে খুলনার সড়কে ক্রটিপূর্ণ যানবাহন চলাচলের কারণে স্বাভাবিক চলাচলে ঝুকি থাকছেই, মিলছেনা নিরাপত্তা। গত, নতুন বছর ২০২৩ সালের ০৩ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন নতুনরাস্তা কবরস্থান জামে মসজিদের সম্মুখে খুলনামুখি তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মটরসাইকেলে থাকা আরোহী দৌলতপুর ৫নং ওয়ার্ডস্থ কেডিএ বাউন্ডারী রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত- এস.এম রবের পুত্র হাসান আসকার বাবু (৫০) ঘটনাস্থলে মারা যান। ভিকটিমকে চাপা দিয়ে ট্রাক চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিক জব্দ করে থানায় হেফাজতে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে তেলবাহী ট্রাকের অজ্ঞাতনামা চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। একই ঘটনা ঘটে দৌলতপুরস্থ খুলনা-যশোর মহাসড়কের আঞ্জুমান ঈদগাহ্ সম্মুখে গেল বছরের ২১ নভেম্বর (সোমবার) সকাল পৌনে ১০টার দিকে। পেছন হতে ট্রাকের ধাক্কায় কেএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার খালিশপুর জোন মোঃ হুমায়ূন কবিরের দেহরক্ষী আল মামুন মুসাব্বির (২৩) হন। ওই ঘটনায় পুলিশ সদস্য সালাম মীর বাদী হয়েছে দৌলতপুর থানায় ট্রাক ড্রাইভার পাবনা সদর হেমায়েতপুর নতুন পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ মোসলেম শেখের ছেলে আলম শেখ (৪৭) ও ট্রাক হেলপার একই এলাকার বাসিন্দা মোসলেম শেখের ছেলে আলম শেখ (৪৮) এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গেল, ০৩ জানুয়ারী দৌলতপুর নতুনরাস্তা এলাকায় তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হাসান আসকার বাবু’র একমাত্র ছেলে আতিফ জানান, বাবা এভাবে চলে যাবে ভাবতে পারিনি। আমি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়লাম। কে আমাকে এখন বাবার আদর দেবে ? আমার সকল আবদার পূরণ করবে ক