• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

খুলনায় বাড়িওয়ালাকে হত্যা মামলায় ভাড়াটিয়ার মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২২, ১০:১০ অপরাহ্ন / ৮১
খুলনায় বাড়িওয়ালাকে হত্যা মামলায় ভাড়াটিয়ার মৃত্যুদণ্ড

মোস্তাইন বীন ইদ্রিস (চঞ্চল),খুলনা: খুলনায় ভাড়াটিয়ার হাতে বাড়িওয়ালা হত্যা মামলায় আসামি জসিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন নগরীর হাজী ইসমাঈল লিংক রোডের ইসলাম কমিশনার মোড়ের একটি বাড়ির মালিক ছিলেন। তার বাড়ির নিচতলায় রবিউল ও দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম ভাড়া থাকতেন। ভাড়া ঘরের সঙ্গেই একটি মুদি দোকান চালাতেন রবিউল। আর আসামি জসিম পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, হত্যাকাণ্ডের ছয়দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইলফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ রবিউলের কাছ থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি সালিশের আয়োজন করেন রবিউল। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৯ মে সালিশের পর জাহাঙ্গীর হোসেন জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ করে তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনায় জসিম জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হন। ওইদিন বিকেল ৫ টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকানের বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশোনা করছিলেন। এসময় আসামি জসিম পেছন থেকে জাহাঙ্গীরের গলায় ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

আইনজীবী সাব্বির আরও বলেন, পরে জাহাঙ্গীরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানা হত্যা মামলা করেন। পরে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম জসিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। অবশেষে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।