• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

খুলনায় বাস ধর্মঘটের কারণ জানাতে লাগলো ১৪ ঘণ্টা : ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৯, ২০২২, ৫:৪৪ অপরাহ্ন / ৮৩
খুলনায় বাস ধর্মঘটের কারণ জানাতে লাগলো ১৪ ঘণ্টা : ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ

মোস্তাইন বীন ইদ্রিস (চঞ্চল),খুলনা: খুলনায় আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা যায়। এর ১৪ ঘণ্টা পর বাস চলাচল বন্ধ রাখার কারণ জানানো হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সোনাডাঙার প্রধান সময় নিয়ন্ত্রকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কারণ জানানো হয়।

হাতে লেখা এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ বেলা ১১টায় সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকরা। সভায় বলা হয়েছে, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক মহাসড়কে অবৈধভাবে নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধ করা না হলে ২১ ও ২২ অক্টোবর মালিক সমিতির সব রুটের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে সকালে বাস মালিক সমিতির নেতা কাজী এনায়েত হোসেন বলেন, তারা দুই দিন বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়ন এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এদিকে আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। বাস চলাচল বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ বাস্তবায়নে মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বাস চলাচল বন্ধের এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কোনও ষড়যন্ত্রই গণসমাবেশ প্রতিহত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী অভিযোগ করে বলেন, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের অন্য ৯টি জেলা থেকে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তারা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যেকোনোভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান করবেন।

বিএনপির গণসমাবেশ ও বাস চলাচল বন্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ মানুষের অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার বিষয় আমি কিছু জানি না। এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারবো।’ তবে বিএনপি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের কর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে আজ খুলনায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গণসমাবেশ স্থল পরিদর্শন করেন।