• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

খুলনায় দেওয়ানি মামলা অবস্থায় ব্যাংকে দায়বদ্ধ জমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২, ৫:০০ অপরাহ্ন / ২৪৩
খুলনায় দেওয়ানি মামলা অবস্থায় ব্যাংকে দায়বদ্ধ জমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনাঃ  ভূমি অধিগ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকে দায়বদ্ধ জমি এবং দেওয়ানি মোকদ্দমা চলাকালীন জমি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন গতকাল রবিবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা করেন দাকোপের কালাবগি এলাকার বাসিন্দা ফিস এন্ড কেজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আবু মহাঃ মুসা। লিখিত বক্তব্যে বলা হচ্ছে, আমি আধা নিবিড় চিংড়ি চাষের জন্য বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, যা বর্তমানে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছি। ১৯৯১ সালে চিড়িং চাষের জন্য কয়রা উপজেলাধীন মৌজা চৌকুনিতে ৩৩ একর জমি খরিদ পূর্বক প্রচলিত নিয়মে ১২ লাখ টাকা জমাপূর্বক ৪৭ লাখ টাকা প্রকল্পের ঋণ অনুমোদন হয়। ওই ব্যাংক হতে ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটির কাজ আরম্ভ হলে চৌকুনি নদী বাঁধের কারণে পানির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কায় উক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের অনুমোদন পূর্বক দাকোপের কালাবগি মৌজা যার এসএ নম্বর ২৩১, ২৩২ ও ৪৭৯ এর দাগ নম্বর ১২০৯, ১২১০, ১২১৪, ১২১৫ আওতাভুক্ত ২৬ দশমিক ৭৬ শতক জমি ১৯৯২ সালের ১১ মার্চ ৪৬২ নম্বর দলিলে কবলামূলে খরিদ করা হয়। অত্র কোম্পানির নামে নামপত্তন, করখাজনা প্রদানে প্রচলিত নিয়মে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার পর কোম্পানির দ্বিতীয়স্থল কালাবগিতে ব্যাংকের অনুমোদন পূর্বক লে-আউট প্লান মোতাবেক স্লুইচ গেট, খাল, পুকুর, ভেড়িবাঁধ ও ঘর-দরজা ইত্যাদিতে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করেন তিনি।

কিন্তু জরিপকালে ভুলের কারণে কোম্পানির নামে বিআরএস রেকর্ড না হয়ে পূর্বের মালিক বা অন্যদের নামে রেকর্ড হয়েছে। ১ নম্বর খাস খতিয়ানে এসএ ৪৭৯ খতিয়ান দাগ নম্বর ১২১০ হতে ৮ দশমিক ৩৮ শতক জমি রেকর্ড হয়। উক্ত রেকর্ড ভুল সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল খুলনাতে (নং-১২৪০/১৯) মামলা দায়ের করেন তিনি। সরকার পক্ষ জবাব না দেওয়ার কারণে আগামী ৬ মার্চ জবাবের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। ইতোপূর্বে গত ১৮ জানুয়ারি দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তফসীল বর্ণিত জমি পরিদর্শনে যান। সে সময় আবু মহাঃ মুসাকে বলা হয়েছে, ১ নম্বর খাস খতিয়ানে ৮ দশমিক ৩৮ শতক জমি রয়েছে। উক্ত জমি সরকারি সম্পত্তি হওয়ায় এখানে বালু দিয়ে ভরাট করে গুচ্ছ গ্রাম করা হবে বলে জানানো হয় তাকে। এমনকি জমির কাগজপত্র থাকলে ভূমি অফিসে যোগাযোগে কথা বলা হলে যোগাযোগ করি এবং কাগজপত্র দেখালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসন্তোষ প্রকাশ করে আমাকে (মুসা) বলেন, আপনি জালজালিয়াতি করে জমি দখল করেছেন।
সরকারি কাজে বাধা দিলে মামলায় জড়ানোর হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফিস এন্ড কেজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আবু মহাঃ মুসা। ভুক্তভোগি মুসা এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।