• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন

কাশেমপুর অন্ধকার কারাগারে প্রদীপ, ভেঙে পড়লেন স্ত্রী চুমকি!


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৫, ২০২৩, ১০:৩৭ অপরাহ্ন / ৭১
কাশেমপুর অন্ধকার কারাগারে প্রদীপ, ভেঙে পড়লেন স্ত্রী চুমকি!

মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ সেনাবাহিনীর অব;সরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন পার করছেন।

অন্যদিকে দুর্নীতির মূল সহযোগী তার স্ত্রী চুমকি স্বামীকে ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রদীপের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর থেকে কোনো হদিস মেলেনি চুমকির। প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি চুমকি। এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি প্রদীপ। ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান চুমকি।

স্ত্রী-সন্তানের জন্য অপকর্ম করে গড়েছিলেন সম্পদের পাহাড়। ক্ষমতার জোরে সৎবোন রত্না বালা প্রজাপতির বাড়ি পর্যন্ত দখল করে নিয়েছিলেন।

প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির নামে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যবসাসহ সম্পদের পাহাড় গড়ার তথ্য পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কথিত আছে, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের আগরতলা, বারাসাত, গৌহাটিতে এই দম্পত্তির নামে একাধিক বাড়ি রয়েছে।

বিদেশে পাচার করেছেন অঢেল টাকা। চট্টগ্রামেও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট ও ব্যবসা। রয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট। প্রদীপ ও তার স্ত্রী-সন্তান সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। তবে দেশে থাকা তাদের সব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে এখন জব্দ রয়েছে।

তবে সিনহা হত্যা মামলায় প্রদীপ গ্রেপ্তার হওয়ার পর আর তার পাশে নেই কেউ। এ সময়ে পাননি স্ত্রী-সন্তানের দেখা। গ্রেপ্তারের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন স্ত্রী চুমকি কারন।

প্রদীপপত্নী দেশেই কোথাও লুকিয়ে আছেন না পালিয়ে বিদেশে গেছেন তা বলতে নারাজ স্বজনরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও চুমকির অবস্থানের সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছে না।

বিভিন্ন সূত্রের মতে, প্রদীপ কুমার গ্রেপ্তারের পর চুমকি কারন প্রথমে চট্টগ্রাম শহরের সদরঘাটে এক স্বজনের বাসায় কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর থেকে তার আর হদিস মিলছে না। অনেকে ধারণা করছেন তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধপথে ভারতে পালিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মা’মলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো.

রিয়াজ উদ্দিন। এই মামলায় এখন প্রদীপ দম্পতি বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গো’পন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।