• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

৯৯৯ এর কল পেয়ে পথভোলা শিশুকে স্বজনদের নিকট পৌঁছে দিল গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১২:১৫ অপরাহ্ন / ৭১
৯৯৯ এর কল পেয়ে পথভোলা শিশুকে স্বজনদের নিকট পৌঁছে দিল গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জের সিঙ্গারকুল মহিলা মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা সিদ্দিকা। বয়স সবে মাত্র ৭ বছর। গ্রামের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারীতে। তার নানার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা এলাকায়। সে মাদ্রাসায় থেকেই লেখা-পড়া করে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে লাবিবা তার নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে ঘোনাপাড়া আসে। ঘোনাপাড়া থেকে তার নানা বাড়ি গোবরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি অটো রিক্সায় উঠে। কিন্তু ছোট্ট লাবিবা তার নানা বাড়ির ঠিকানা বলেত না পারায় অটো রিক্সা চালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। কান্নাজড়িত শিশু লাবিবাকে দেখে একজন ঔষুধ এর দোকানদার (ফার্মাসিস্ট) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে বিস্তারিত জানান। এ সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই অহিদ মিয়া সেখানে যায়। ছোট্ট লাবিবাকে সান্ত্বনা দিয়ে তার নানার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সাথে কিছু চকলেট ও চিপস্ও কিনে দেয়। এখন কিছুটা আশ্বস্ত ছোট্ট লাবিবা। এরপর এসআই অহিদ লাবিবাকে জিজ্ঞাসা করে তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা সহ বাবার নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে লাবিবার মায়ের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তার মায়ের কাছ থেকে নানার নাম্বার নেয়। এরপর লাবিবার নানাকে ফোন করলে সে ঘটনাস্থলে আসে। লাবিবার নানা মোঃ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থলে আসার পর ছোট্ট লাবিবাকে তার নানার নিকট বুঝিয়ে দেয় এসআই অহিদ।

যে লাবিবার চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ ছিলো, কান্নাজড়িত ছিলো পুলিশের তৎপরতায় সে লাবিবা তার অভিভাবকের সন্ধান পেয়ে সে এখন খুশিতে আত্মহারা। ধন্যবাদ ৯৯৯ কে, ধন্যবাদ গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশকে।