• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন

২০২৩ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি এবং  উচ্চ আদালতের আদেশ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশের সময় : মে ১১, ২০২৫, ৪:১২ অপরাহ্ন / ৪৭
২০২৩ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি এবং  উচ্চ আদালতের আদেশ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন

এম রোমানিয়া, খুলনাঃ গত ১০মে শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে ২০২৩ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি এবং উচ্চ আদালতের আদেশ সম্পর্কে প্রেসব্রিফিং করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান মুশফিক।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করি। তখন থেকেই আমি তারুণ্যের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমি সব সময় মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছি। ছাত্র জীবনে আমি ১৯৯০ সালে খুলনা আর্ট কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে জিএস নির্বাচিত হই।

২০২৩ সালের ১২ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। উক্ত নির্বাচনে আমি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যাই। বিষয়টি বুঝতে পেরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল কারচুপির আশ্রয় নেয় এবং আমাকে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে দেয়। যা আমি ওই নির্বাচনের পরের দিন খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করি এবং ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে কারসাজির অভিযোগ করি।

আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি কোনো বিচার পায়নি। জুলাই বিপ্লবের পর ন্যায় বিচারের আশায় আমি ২০২৩ সালের ১২ জুনের জালিয়াতি নির্বাচনের বিরুদ্ধে আদালতে স্মরণাপন্ন হই। তার আগে আমি গত ২০ এপ্রিল-২০২৫ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের নিকট পত্র দেই এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি। কিন্তু কোনো সদোত্তর না পেয়ে উচ্চ আদালতে স্মরণাপন্ন হই এবং মহামান্য উচ্চ আদালাত গত ৬ মে এক আদেশ দিয়েছেন। সেখানে ২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারের সচিব ও স্থানীয় সরাকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে।