মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, পাইকগাছা, খুলনাঃ স্যার পিসি রায় ছিলেন বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী। তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত হয়ে শিল্প উৎপাদনে জগতে খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ শক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানী পিসি রায় বিজ্ঞানের সকল শাখায় নিজেকে যুক্ত করে একাধারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায়ের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকীতে বুধবার (২ আগস্ট) সকালে তার গ্রামের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ূলীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচাৰ্য্য এমপি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, খুলনা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আচার্য পিসি রায় স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শাহাদৎ হোসেন বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল। রাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ওসি তদন্ত তুষার কান্তি দাশ, চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু। আওয়ামীলীগ নেতা শংকর দেব নাথ, যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজুসহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ ,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় দলীয় নেতা কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বিজ্ঞানীর নামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বসতবাড়ীকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা, বিজ্ঞানীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, পাঠ্যপুস্তকে বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কিত অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত, জাদুঘর ও সংগ্রহশালা স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিবৃন্দ বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালার শুরু হয়।
আলোচনা সভা শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :