
এ.কে আজাদঃ আওয়ামীলীগ তথা সৈরাচার সরকারের দোষর অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ইকবাল এখনও অধরা।চাকুরির যোগদান হতে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত দেশের যতগুলো থানায় যোগদান করেছে প্রত্যেকটি থানায়ই রয়েছে তার বিরুদ্ধে অনেক লোমহর্ষক ঘটনা।ছাত্র জীবনে সে ছাত্রলীগ করতো, সেই সুবাধে আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় এমপি মন্ত্রীদের কোলে বসে ঘৃন্যতম অপরাধ করে বেড়াতো থানা এলাকায়।থানা বেষ্টনীতে এমনভাবে আধিপত্য বিস্তার করতো দলীয় লোকজন ব্যতিত কেহ তার হাত থেকে রক্ষা পেতোনা।লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি-কমলনগর থানায় দায়িত্বরত অবস্থায় বহু অপকর্মের হোতা ছিলো সে।লক্ষ্মীপুর ০৪ রামগতি-কমলনগর এই আসনের এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পোস্যকৃত ক্যাডার হয়ে বহু নীরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সর্বশান্ত করেছে।বিএনপি,জামায়াত সহ কোন দলীয় নেতাকর্মী তার কাছে নিরাপদ ছিলোনা।এই দুই উপজেলা থেকে কয়েক কোটি টাকা কামিয়েছে সে।হত্যা,গুম,ধর্ষণ, চাঁদাবাজী ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের কাছ থেকে মোটা অন্কের অর্থ লুফে নিয়ে নীরিহ ব্যাক্তিদের ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর ঘটনা ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক।তার বিরুদ্ধে কোন সাংবাদিক কলম ধরলে তাকে ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হতে হয়েছে। ধুরন্ধর প্রকৃতির ওসি ইকবাল নারী কেলেংকারীতেও ছিলো বেশ পটু।থানা বেষ্টনীতে অনেক নারীর সঙ্গে ছিলো অন্তরঙ্গ মুহুর্ত। কোন পুলিশ সদস্য তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস না পেলেও এখন অনেকেই জানাচ্ছে লোমহর্ষক ঘটনা।
এদিকে ২০২২ সালের ২০ অক্টোবর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় গর্ভবতী নারীকে বিবস্ত্র ও ধর্ষণের ভিডিও ধারন ডাকাতির ঘটনায় পক্ষপাতিত্য করায় বাঙ্গরাবাজার থানায় যোগদানের দেড়মাসের মাথায় ঘুষখোর এই ওসিকে প্রত্যাহার করে নেয় কুমিল্লার পুলিশ সুপার।গত ১৮ ই অক্টোবর ২০২২ ইং জেলা পুলিশ সুপার এ সংক্রান্ত আদেশ প্রদান করেন।
৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর সৈরাচার সরকার পতন ও শেখ হাসিনার পলায়নে আত্মগোপনে রয়েছে ওসি ইকবাল।
সচেতন মহল জানান,ঘুষখোর -দুর্নীতিবাজ ওসি ইকবালকে গ্রেফতার পুর্বক আইনের আওতায় আনা খুবই জরুরী। অতীতে তার মতো পুলিশের কারনেই গোটা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বদনাম কুড়িয়েছে।ওসি ইকবাল শত কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো তা প্রত্যেকটি থানায় তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে লোমহর্ষক ঘটনা।
আপনার মতামত লিখুন :