নিজস্ব প্রতিবেদক, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জ মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া বাঘু মৃধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে চাকরিরত এক নারীর জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি আবার একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী বলে জানা গেছে। এই প্রধান শিক্ষক নিজেও সনদ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
বিষয়টি অনুসন্ধান জানা যায়, ২০১৩ সালে মুক্তা বেগম এর নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন পাওয়া গেছে। ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি ওই যোগদান সেখানে দেখানো হয়েছে।
এ সব বিষয়ে জানতে মুক্তা বেগমের মোবাইলে নম্বরে কল করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি প্রথমে বাড়ি কোথায় জানতে চান। ঠিকানা জানিয়ে বঘুমৃধা হাই স্কুলে ২০১৩ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।
আপনার কি এমপিও ভুক্তি হয়েছে, এ প্রশ্নে বলেন, হ্যাঁ । ২০১৭ সালে ফের একই স্কুলে নিয়োগ পেয়েছেন? এ প্রশ্ন করার পরই মুক্তা চুপ হয়ে যান। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মুক্তা বেগমের স্বামী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার মোবাইল নম্বরে কল দিলে তিনি বলেন, একটা কুচক্রী মহল মিথায় অভিযোগ করছে। পরে বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না করার অনুরোধ করে তদবির করার চেষ্টা করেন।
জানতে চাইলে মুকসুদপুর ইউ এন ও ইউএনও ইমাম রাজী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অনিয়ম হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। পরে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে করোনাকালীন সময়ে ফরম ফিলাপের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :