মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বড় শক্তি হচ্ছে মেধা ও সৃজনশীলতা।আগামীতে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া যাবে না। কেননা মেধা আর সৃজনশীল মানবস্পদই পারবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেত্বত্ব দিতে। বাংলাদেশের তরুণসমাজ অত্যন্ত মেধাবি। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে মাধ্যমে তরুণ সমাজকে উপযোগী শক্তি হিসেবে তৈরি করার বিকল্প নেই।
মন্ত্রী শনিবার ২৬ জুন রাতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি্র ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ক্লাব এবং ইন্টারনেট সোসাইটি, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যৌথ উদ্দ্যেগে আয়োজিত “ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা” শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যাকবোন তৈরি সম্পন্ন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক উল্লেখ করে কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রনায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের মেধাবি তরুণ সমাজকে উপযোগী করে গড়ে তুলতেই হবে। তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা মানে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ী অঙ্গিকার ।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে এগিয়ে যাওয়ার এক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ অতীতের সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় জন্য সবচেয়ে যে জিনিসটা প্রয়োজন তার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় ডিজিটাল কানেক্টিভিটি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ২০১৮ সালে আমরা বার্সেলোনায় ৫জি দেখেছি। জুলাই মাসেই সেই ৫জি বাংলাদেশে পরিক্ষা করেছি। কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন,
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সবার জন্য সমান নয়; কারণ পৃথিবীটা ফ্লাট ল্যান্ড নয়। এ কারণেই যখন ইউরোপিয়ানরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য ওয়ার্ল্ড ইকোনেমিক ফোরাম কাঁপিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে, তখন জাপান একটু ভিন্ন সুরে কথা বলেছে। জাপান বলেছে, ফোর্থ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন ম্যাকানিক্যাল। আমরা ম্যাকানিক্যাল না, হিউম্যান সোসাইটি গড়তে চাই। এবং তাদের শ্লোগান সোসাইটি ৫.০। আমাদের জন্যও বিষয়টি তাই। আমরা কেবল যন্ত্র নির্ভর সভ্যতায় মানবজাতির অগ্রগতি হবে তাতে বিশ্বাসী নই। আমি মনে করি, আমাদের একটি মানবিক সভ্যতা গড়তে হবে। প্রযুক্তি মানুষের জন্য; কখনো মানুষের বিকল্প নয়। মন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত গর্বিত, আনন্দিত, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ৭০ সাল থেকে দেখি। তার দূরদর্শীতা আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি যেই জায়গাটায় বালাদেশের অগ্রগতি স্থির করেছেন,সেই জায়গাটার দিকেই যাচ্ছেন। যেই কাজটা সরকারের করণীয় ছিলো সেই কাজটায় তিনি অসাধারণ ভূমিকা পালন করছেন।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রোগ্রামিং হিরো এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ঝংকার মাহবুব। ওয়েবিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।অনুষ্ঠানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ সাদেকুল আরেফিন,পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাসিম আক্তার, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ডক্টর গনেশ চন্দ্র সাহা এবং বাংলাদেশ ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডক্টর হাফিয মুহাম্মদ হাসান বাবু।
আপনার মতামত লিখুন :