
নিজস্ব প্রতিবেদক,মধ্যনগর,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘর নিলামে পেয়ে নিলামে পাওয়া বিদ্যালয়ের মালামালের সাথে অতিরিক্ত অনুমান ২ লক্ষাধিক টাকার সরকারি মালামাল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৭ জানুয়ারি মাসে ধর্মপাশা ও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার ১৩ টি বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘর ধর্মপাশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে নিলামে বিক্রয় করা হয়। নিলামে বিক্রয় করা বিদ্যালয়ের মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলা সদরের নিকটে খয়েরদিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনসেড হাফবিল্ডিং পুরাতন ঘরটি সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে নিলামে ক্রয় করেন স্থানীয় আবুল কাশেম মেম্বার।
ঘরটি ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে আসার সময় নিলামে সংযুক্ত নেই এমন অতিরিক্ত নতুন একটি পাকঘরসহ পূর্বে ভেঙ্গে রাখা ৮০ পাতা ঢেউ টিন, সিমেন্টের ৩০ টি খুঁটি, ঘরের কাঠ ও ২০০০ ফুট বালি নিয়ে যায় আবুল কাশেম মেম্বার।এ সব মালামালের বর্তমান বাজার দরের অর্ধেক মূল্য ধরা হলেও ২ লক্ষাধিক টাকা।
এ ছাড়াও নিলাম আহবানের নোটিশে নিলামে বিক্রয়ের তিন কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি মূল্য পরিশোধ করে কার্যাদেশ নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ডাককারীগণ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ইচ্ছেমতো কার্যাদেশ নিয়ে ঘর সরানোর কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ঘিরইল, ফারুকনগর,বনগাভি ও কাকরহাটিসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের পুরাতন ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারি মূল্য পরিশোধ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিলামে অংশগ্রহণকারী অনেকেই বলেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একটি করে ঘর সরিয়ে পর্যায়ক্রমে কার্যাদেশ নেয়ার সুযোগ দেয়া রহস্যজনক। এরকম সুযোগ থাকলে ঘরগুলো আরো বেশী দামে বিক্রি হতো।
এ ব্যাপারে খয়েরদিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি নিজামুল হক উক্ত বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত টিন নেয়ার বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার দোহাই দিয়েছে কাশেম মেম্বার । টিনের মূল্য হিসেবে মাত্র ৬ হাজার ৫ শত টাকা পেয়েছি। নিলামে ধরা আছে বলে আমাদেরকে বুঝিয়ে পাকঘর ও বালি নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস নিয়ে যাওয়া অতিরিক্ত মালামালের ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন এবং অনুমান সব কার্যাদেশ চলে গেছে এর মধ্যে দু’একটি কার্যাদেশ হয়তো নেয়া হয়নি।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, খোজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
আপনার মতামত লিখুন :