এস এম মজনু, সিরাজগঞ্জঃ যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৫ সেন্টিমিটার কমে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের। এখনো ঘরবাড়ি, রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় পানির মধ্যেই উঁচু মাচা করে রান্নাবান্না করছেন বন্যাকবলিতরা।
এবারের বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ডুবে যাওয়ায় জেলার নদী তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল এলাকার ৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া যমুনা নদীর পানি বাড়ার কারণে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলের ৯ হাজার ১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তিল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাকসবজি, বীজতলাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচ উপজেলায় বন্যাকবলিতদের মাঝে ১৪০ মেট্রিক টন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার স্ব-স্ব উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মজুত রয়েছে ৭৭১ মেট্রিক টন চাল ও ১৪ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে বিশেষ বরাদ্দের জন্য ১০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি বন্যায় জেলায় প্রায় ৫৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে বন্যার্তদের জন্য ১৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া বানভাসিদের চিকিৎসার জন্য ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন
আপনার মতামত লিখুন :