• ঢাকা
  • সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন

সিএনজিতে ষ্টিকার লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি : তোপের মুখে পুলিশ


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১২, ২০২৩, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন / ২৭২
সিএনজিতে ষ্টিকার লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি : তোপের মুখে পুলিশ

এম রাসেল সরকারঃ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনজিতে ষ্টিকার লাগিয়ে মিঠু চৌধুরির চাঁদাবাজি চলছে। চাঁদা দিয়ে দাপটের সাথে মহাসড়কে চলাচল করছে সিএনজি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চাঁদাবাজের দেওয়া ষ্টিকার লাগিয়ে অবাধে চলছে সিএনজি।

সিএনজি চলাচলের রোড পারমিট চাঁদাবাজদের ষ্টিকার। সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরে অন্তত ৪ শতাধিক সিএনজি চলছে মিঠু চৌধুরের দেয়া ষ্টিকারে। বিনিময়ে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে মিঠু চৌধুরী। রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, মিঠু চৌধুরীর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায়। কয়েক বছর আগে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় কাসসাফ মার্কেটে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে গেঞ্জির ব্যবসা করতেন। ব্যবসায় সুবিধা করতে না পারে সাইলো গেইট এলাকার কয়েকজন সিএনজি মালিককে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফোরস্টোক সিএনজি মালিক সমিতি গঠন করে।

পরে জেলা ট্রাফিক বিভাগের কয়েকজন টিআই ও সার্জেন্টদের ম্যানেজ করে অবাধে চলাচলের জন্য সমিতির নামে একটি ষ্টিকার বানিয়ে সিএনজিতে লাগিয়ে মাসিক চাঁদা আদায় করছে। এভাবে তিনি অন্তত ৪ শতাধিক সিএনজিতে ষ্টিকার লাগিয়ে মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন। হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বানিয়েছেন সিএনজি স্ট্যান্ড।

সিএনজি চালকদের অভিযোগ, মিঠু চৌধুরীর কাছ থেকে ষ্টিকার না লাগিয়ে গাড়ি চালাতে পারেনা। ষ্টিকার না থাকলেই ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি আটক করে। পরে জরিমানা দিয়ে গাড়ি ছাড়াতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে মাসিক ৫’শ টাকা চাঁদা দিয়ে ষ্টিকার লাগিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মিঠু চৌধুরী নিজেই ৪০টি সিএনজির মালিক। সাইলো সড়কের মাথায় তার রয়েছে শতাধিক সিএনজি রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি গ্যারেজ। এই গ্যারেজে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চার্জ দেওয়া হয়। রয়েছে চোরাই বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়াও গ্যারেজে বসে প্রতি রাতে জুয়ার আসর। হয় মাদক খাওয়া ও বিক্রির কাজ।

এ বিষয়ে মিঠু চৌধুরীর বলেন, জেলা ট্রাফিক ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেই সিএনজি চালাচলের ব্যবস্থা করেছি। চালকরা খুশি হয়েই মাসিক টাকা দিচ্ছে। কারো কাছ থেকে জোর করে চাঁদা নিচ্ছি না। চাঁদার টাকা সব মহলকেই দিতে হচ্ছে। আমি একা সব নিচ্ছি না। গ্যারেজে জুয়া ও মাদক বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয় বলে তার দাবি।

হাইওয়ে পুলিশের টিআই মশিউর আলম বলেন, মিঠু নামে কাউকে আমি চিনি না। মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতি হাইওয়ে পুলিশ কখন দিবে না। সড়কে সিএনজি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।