সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে দেশের ৩৫ জেলায় ১শ’ ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৩৫ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রামে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুরে ১০, কুমিল্লায় পাঁচজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ জন মারা গেছেন। খুলনা বিভাগে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে খুলনায় ৫, মেহেরপুরে ৯, বাগেরহাটে ১৫, ঝিনাইদহে ৪, সাতক্ষীরায় ৩ এবং কুষ্টিয়া, মাগুড়া ও নড়াইলের ৫ জন রয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে মারা গেছেন ১৯ জন। এরমধ্যে রাজশাহীর ৬, পাবনার ৫, নাটোরের ৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, বগুড়ার একজন করে আছেন। বরিশাল বিভাগে ২৬ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে বরিশালের ১১, ভোলার ৬, ঝালকাঠির ৩, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুরের ৬ জন রয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে মৃত ১৬ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের ১১, শেরপুরের ৩ এবং নেত্রকোনার ২ জন রয়েছেন। এদিকে রংপুর বিভাগে করোনায় ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে রংপুরে ৩, দিনাজপুরে ৩, কুড়িগ্রামে ২ এবং লালমনিরহাট, ঠাকুরগাও এবং গাইবান্ধার ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া ফরিদপুরে ৭ ও টাঙ্গাইলে ৩ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, দেশে করোনায় ২য় ঢেউয়ে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ হার ও মৃতের সংখ্যা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১শে মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।
আপনার মতামত লিখুন :