নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পী সমাজ। তারা বলছেন, ধর্ম যার-যার, বাংলাদেশটা সবার। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির স্থান নেই। যারা সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে, তারা দেশের শত্রু, স্বাধীণতার শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। তাদের কোন ধর্ম নেই, তাদের কোন রাষ্ট্র নেই। এরা সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীদের বিচার সন্ত্রাস দমন আইনেই করা উচিত। আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সম্প্রতি সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সম্প্রীতির সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরি সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতারের কণ্ঠ শিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, অভিনেত্রী ও জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, চিত্র নায়িকা সিমলা, মিস বাংলাদেশ’র মুনজারিন অবনি, সাংবাদিক ড. মিজানুর রহমান, তারেক রায়হান, রীতা রাণী সরকার, কামাল চৌধুরীসহ অভিনেত্রী, অভিনেতাসহ শিল্পী, নাট্যশিল্পীবৃন্দ।
সমাবেশে শিল্পীরা বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন, অগ্রগতিতে অন্যদেশকে পিছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি গোষ্ট্রির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন দেখতে পারে না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাক, তারা তা চান না। সে কারণেই সম্প্রতি সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য হিন্দুদের মন্দিরে, বাড়ীঘরে হামলা করেছে। তারা বলেন, এ দেশ সবার। সবার সমান অধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে গেছেন।
সম্প্রীতির সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, যখনই নির্বাচন ঘনিয়ে আসে তখনই নানা চক্রান্ত শুরু হয়। উন্নয়ন ও অর্জনের কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় আসবেন। সে কারণেই তার সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতেই সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার শেখ হাসিনা যতদিন সরকার প্রধান থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশ নিরাপদ। অন্য কোন শক্তি ক্ষমতায় আসলে তালেবানী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
সমাবেশে রফিকুল আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে মাঠে নেমেছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারাই চোরাগোপ্তাভাবে এসব হামলা চালিয়েছে। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে ঘটনায় জড়িত জামায়াত নেতা গ্রেপ্তারের পর আদালকে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের যে সম্প্রীতি রয়েছে তা বিরল।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বলেন, রাতের অন্ধকারে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাংলায় আঘাত।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অভিনেত্রী তারিন জাহান বলেন, তার দাদা ছিলেন একজন পীর এবং বাবা ছিলেন এক পরহেযগার মানুষ। কিন্ত তার নাচের হাতে খড়ি হিন্দু সম্প্রদায়ের গুরুর কাছে। শৈশব থেকে অসম্প্রদায়িক চেতনার সাংস্কৃতিক বলয়ে বড় হয়ে ওঠেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূর্ত প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনা শোনার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করেছেন। পৃথিবীতে এমন প্রধানমন্ত্রী বিরল। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমমনা।