• ঢাকা
  • শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন

সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রফুল্ল রায়ের সীমাহীন অত্যাচার


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৮, ২০২৪, ৪:০২ অপরাহ্ন / ৩৮
সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রফুল্ল রায়ের সীমাহীন অত্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাঃ বিগত সরকারের ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রফুল্ল রায়ের সীমাহীন অত্যাচারে খুলনা অঞ্চলের ৪০টি গ্রামের পাঁচ লক্ষাধিক কৃষিজীবী মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।

খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা এবং যশোরের কেশবপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ধনী-দরিদ্র, কৃষিজীবী ও ঘের মৎস্যজীবী মানুষ বিগত কয়েক বছর ধরে অসহায় জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের দুঃখ কষ্টের কারিগর ইট ভাটার মালিক ডুমুরিয়া উপজেলার বাসিন্দা প্রভাবশালী শিল্পপতি প্রফুল্ল রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও সাধারণ মানুষ কোন সুরাহা পাচ্ছে না।

উল্টো প্রভাবশালীর পোষ্য বাহিনীর বহুমুখী অত্যাচারে সাধারণ মানুষ নিরুপায় হয়ে পরিস্থিতি মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে উক্ত এলাকার সাধারণ কৃষিজীবী মানুষ ফসল ফলাতে না পেরে পথে বসেছে। এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মৎস্যজীবীদের মাছের ঘের পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা।বদ্ধ পানি দূষিত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সাপের কামড়ে নিহত হয়েছে অনেকেই।

সাবেক এমপি ও ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বিগত পাঁচ বছর ধরে এলাকাবাসীকে সব ঠিক করে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কলা ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। মন্ত্রী ও প্রভাবশালীর ভয়ে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে নিরব থেকে বছরের পর বছর দুঃখ কষ্টে জীবন পার করছিল। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিগত সরকারের পতনের পরে সাধারণ মানুষ ফুসে উঠেছে।

এখন তারা এর প্রতিকার চায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বটিয়াঘাটা নদীর মোহনা থেকে ভদ্রা নদীটি সম্পূর্ণভাবে পলি জমে ভরাট হয়ে গিয়েছে। নদীটি খননে এলাকার সংসদ সদস্য আন্তরিক না হওয়ায় কোন বাজেট বরাদ্দ হয়নি বলে চালিয়ে দিয়েছেন।

কৈয়া বাজার শোলমারী খেয়াঘাট এলাকায় ভদ্রা নদীর প্রায় ৫০ বিঘা জমি বিভিন্ন কৌশলে আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে ভরাট করে মাছের হ্যাচারি ও ইটের ভাটা নির্মাণ করেছে সাবেক ভূমি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রফুল্ল রায়। কোনরকম সরকারি অনুমোদন না নিয়ে অবৈধ হ্যাচারি ও ইট ভাটা থেকে কোটি কোটি টাকা এখনো কামিয়ে নিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। ভরাট হয়ে যাওয়া প্রায় শুকনো নদীর উপর মোটা মোটা গাছের চল্লিশটি খুঁটি বসিয়ে স্থানীয়ভাবে বানানো হয়েছে ব্রিজ। এই ব্রিজের উপর দিয়ে তার ইটভাটা ও হ্যাচারির মালামাল পারাপার করে থাকে। সাধারণ মানুষের মালামাল পার করতে গেলে আদায় করা হয় মোটা অংকের অবৈধ টোল। ৪০টি মোটা খুঁটি দিয়ে নির্মিত ব্রিজের ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত পলি ভরাট হয়ে যাচ্ছে নাব্যতা হারানো নদীর বাকি অংশটুকু। ফলে বেড়েই চলেছে এলাকার কৃষিজীবী, মৎস্যজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের হাহাকার। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এলাকার সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি, অবৈধ নদী দখলদার উচ্ছেদের মাধ্যমে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়া।