• ঢাকা
  • শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন

সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে——কে এম খালিদ


প্রকাশের সময় : জুন ২৩, ২০২১, ৮:২৫ অপরাহ্ন / ১৭৮
সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে——কে এম খালিদ

এম শিমুল খান, ঢাকাঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেই বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বর্তমানে ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে আরো ৩টি নতুন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান (ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নওগাঁ ও দিনাজপুর) নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে যেগুলোর জনবল কাঠামো সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ দুই দিনব্যাপী (২৩ ও ২৪ জুন, ২০২১) ‘গারোদের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উৎসব- ২০২১ এর উদ্বোধন’ উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোনা আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় ও কৃষি উৎসব। এটি মূলতঃ দেব-দেবীদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গারোরা প্রকৃতি পূজারী হলেও সাম্প্রতিককালে জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছে যে কারণে ওয়ানগালা উৎসব আগের মত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপিত হয় না। তিনি এ বিষয়ে একাডেমির পরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বছরব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে গারোসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ জীবনমানের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী গারো সম্প্রদায়কে ওয়ানগালার শুভেচ্ছা জানান ও তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোনা এর নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আবদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন ও নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সী।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মিঠুন রাকসাম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলাম লেখক সঞ্জীব দ্রং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণার পরিচালক সুজন হাজং। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান।