মোস্তাইন বীন ইদ্রিস (চঞ্চল),খুলনা: আগামী ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় সমাবেশে লাখো জনতার সমাব্শে ঘটাতে চায় বিএনপি। আর এর মধ্যদিয়ে খুলনার কর্মসূচিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন দলের নেতারা। এ জন্য চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও প্রচারণা। কর্মসূচী সফল করতে ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে ১৬টি উপকমিটি। দফায় দফায় বৈঠক করে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন কমিটির সদস্যরা। জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ২২ অক্টোবর খুলনায় ওই বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। এর আগে হত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে এবং ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি।
খুলনায় কর্মসূচী ডাকবাংলা মোড় ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝের সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, এ সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করছে বিএনপি। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাগমারা চেয়ারম্যান বাড়ি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভা হয়েছে। পাশাপাশি সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খুলনা নগরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। রোববার (১৭ অক্টোবর) ডাকবাংলো মোড়, বড় বাজার, হেলাতলা মোড় হয়ে কে ডি ঘোষ রোড পর্যন্ত এলাকায় সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পথচারী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের কাছে লিফলেট বিলি করা হয়।
শুক্রবার খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে বিভাগের ১০ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু এবং অপর ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম মনা বলেন, আমরা জোর প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছি। খুলনায় আশা করি লাখের বেশি লোক হবে। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের চেয়ে এখানকার জমায়েত আরও বড় হবে।সমাবেশের স্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে ভেন্যু হিসেবে হাদিস পার্কের কথা বলেছিলাম। তিনি সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। মেয়র হাদিস পার্কে অনুমতি না দিয়ে সোনালী ব্যাংক চত্বরে করতে বলেন। পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়ে দরখাস্ত দিয়েছি। আমরা আশা করছি, সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশ করার ক্ষেত্রে আমরা সব মহলের কাছে সহযোগিতা পাব। বিএনপি খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে একটি রাজনৈতিক সমাবেশ করতে চায়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য এহতেশামুল হক বলেন, সব বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার অঙ্গীকার করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। দলীয় কর্মী ছাড়াও সরকারের দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেবেন।
এদিকে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গণসমাবেশের মঞ্চে সকাল থেকেই জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) শিল্পীরা জাতীয় সংগীত, দলীয় সংগীত, গণসংগীত পরিবেশন করবেন। সরকার পতনের দাবিতে আবৃত্তি করা হবে বিদ্রোহী কবিতা। ঢাকা থেকে জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতারা আসবেন খুলনায়।
খুলনা মহানগর জাসাস আহ্বায়ক নূর ইসলাম বলেন, কেন্দ্র ছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জাসাসের শিল্পীরা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :