নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানীর ফতুল্লা লালপুর ডিআরটি মাঠ সংলগ্ন রাস্তার পাশে আরসিসি ঢালাই ট্রেনের ফাঁক দিয়ে সত্তরোর্ধ এক নারী পা ফসকে পড়ে গেলে তিনি সেখানে আটকে যান। গতকাল ৩ মার্চ সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার নাম ফজিলাতুন্নেছা (৭১) বলে জানা যায়।
ফতুল্লা লালপুর হাজী জালাল আহমেদ মসজিদ সংলগ্ন তার বাড়ি। ডায়বেটিস রোগী বৃদ্ধা প্রতিদিনই সন্ধায় বাসস সংলগ্ন ডিআইটি মাঠে হাটতে বের হতেন। গতকালও যথারীতি তিনি হাটতে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে ড্রেনে পরে যান।
ড্রেনের পাশে অবস্থিত দোকানের দোকানদার দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে দেখতে পান ড্রেনের ছোট চিকন ফাঁক দিয়ে বৃদ্ধার পা আটকে আছে। দোকানদার রায়হান তাকে উঠানোর বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও উঠানো সম্ভব হয়নি বরং দীর্ঘক্ষন আটকে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন বৃদ্ধা। এ সময় পথচারীরাও তাকে উদ্ধার কাজে লিপ্ত হন।
খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য হাজী মোঃ শরীফুল হক দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। এ সময় শরিফুল হকের সাথে থাকা লোকজন ও উদ্ধার কাজে হাত লাগান। দীর্ঘক্ষন চেষ্টার পরেও কোন মতে ড্রেন থেকে বৃদ্ধাকে বের করতে না পারায় উপায়ন্তর না পেয়ে ড্রেনের উপর ১০ইঞ্চি ঢাকনার স্লাব ভাঙার উদ্যোগ নেন। এ সময় পাশেই অবস্থিত তাহমীদুল কুরআন ও সুন্নাহ মাদরাসা শিক্ষক বৃন্দ স্লাব ভাঙার কাজ শুরু করেন। হাজী মোঃ শরীফুল হকও এ সময় হাতুরী দিয়ে স্লাব ভাংতে দেখা যায়। শতাধিক লোকের পরিশ্রমে দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টা পরে ড্রেনের ১০ ইঞ্চি স্লাব ভেঙে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়।
বৃদ্ধাকে তাৎক্ষণিক পাশের মাদ্রাসায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছার ছেলে জোবায়ের আলম খোকন ( ৪৮) এ সময় তার মাকে উদ্ধারে জন্য হাজী মোঃ শরীফুল হকসহ ফতুল্লাহ ঐতিহ্যবাহী চৌধুরীবাড়ী তরুণ সমাজ সেবক সৌরভ চৌধুরি, মাদ্রাসার শিক্ষক তাওহীদসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :