• ঢাকা
  • শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে:মোস্তাফা জব্বার


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৮, ২০২১, ৫:১৭ অপরাহ্ন / ১৭৪
শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে:মোস্তাফা জব্বার

মনিরুজ্জামান অপূর্ব,ঢাকা:বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তির নাম হচ্ছে ডিজিটাল শক্তি। শিশুদের শিক্ষা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের জন্য আজ এটি অপরিহার্য, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য শৈশব থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং ও ম্যাথ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।ডিজিটাল যুগের উপযোগী হিসেবে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করতে না পারলে তারা যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত হ্যাকাথন উৎসব ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবি তারাই ডিজিটাল যুগের নেতৃত্ব দিবে এবং তারাই ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,আমার দেশের ছেলে মেয়েরা রোবট বানাচ্ছে। কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটছে। আমরা এখন ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)যুগে প্রবেশ করেছি।ব্লকচেইন প্রযুক্তিও এখন সময়ের ব্যাপার যা দিয়ে অপারেটর ছাড়াই কথা বলা যাবে।প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এর পর বিস্ময়কর কী প্রযুক্তি আসে বলা কঠিন বলে মন্তব্য করেন কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক জনাব মোস্তাফা জব্বার।নতুন প্রজন্ম এই ডিজিটাল যুগে বসবাস করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে শিক্ষায় আমূল রূপান্তর হয়েছে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এই প্রজন্মকে গড়ে তোলার এখন সময় এসেছে। তিনি কাগজের বইয়ের চেয়ে ডিজিটাল পাঠ্যক্রম অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায় উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার্থী তার ডিভাইস থেকে ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে সহজে শিক্ষা গ্রহণে সক্ষম।কম্পিউটার ডিভাইস বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার শিক্ষার ডিজিটাল কন্টেন্টের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল কন্টেন্ট মানে পাওয়ার পয়েন্ট না।উন্নত দেশগুলো শিক্ষার ডিজিটাল কন্টেন্টের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, একটি এন্ড্রয়েড টিভি ও পেনড্রাইভে রাখা ডিজিটাল কন্টেন্ট দিয়ে সহজে শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল করা সম্ভব। ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা চালু করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কন্টেন্ট মানে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় এবং শৈল্পিক।ডিজিটাল সংযুক্তিতে বাংলাদেশ উন্নত দেশেসমূহের তুলনায় পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফট্ওয়্যার রপ্তানি করছে। দেশে চাহিদার প্রায় সত্তর ভাগ মোবাইল ফোন উৎপাদন করছে। হাওর, দ্বীপ ও দুর্গম চরাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে এবং ১২ হাজারেরও বেশি ফ্রি ওয়াইফাই জোন করার কাজ চলছে।কোভিডকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে শতভাগ বিটিএস ফোরজি নেটওয়ার্ক এর আওতায় আনা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও ভূ-উপগ্রহ স্থাপন,টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ সদস্যপদ অর্জন এবং ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে বীজ বপন করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেটি আজ মহিরূহে রূপ নিয়েছে।

প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার সো্স্যাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রেজাউল করিম অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।