
মোঃ রাসেল সরকারঃ শেরপুর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের চরখারচর গ্রামের মো. গোল মাহমুদ শেখের ছেলে স্বপন কে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ নভেম্বর রবিবার ভোররাতে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ চৌরাস্তা মোড় থেকে তাকে আটক করে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, ।
গত ১৩ ই নভেম্বর রোববার একটি শেরপুরের সময় অনলাইন পত্রিকায় শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় (শেরপুরে ৯৬ গ্রাম হেরোইনসহ মো. স্বপন মিয়া (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। একইদিন বিকেলে তাকে মাদক আইনের মামলাসহ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাব-১৪ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোররাত ৪টার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সবুজ রানার উপস্থিতিতে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওইসময় ৯৬ গ্রাম হেরোইন ও একটি মোবাইল ফোন সেটসহ মো. স্বপন মিয়াকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। উদ্ধারকৃত হেরোইনের আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হবে বলেও জানায় র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, আটক স্বপন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সদর থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই শিরোনামে সংবাদটি সততা যাচাই করার জন্য একটি সাংবাদিক প্রতিনিধি দল শেরপুর উপজেলার কামুরিয়া ইউনিয়নের র্ভীমগঞ্জ চৌরাস্তা মোড় ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন ওই এলাকার একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সোর্স বাদল খানের ষড়যন্ত্রর শিকার স্পপন। সত্যের উন্মোচন টিম এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান স্বপন নামে যে লোকটাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে সম্পূর্ণ নির্দোষ স্বপনকে র্সোস বাদল খান মাদক দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। শুধু স্বপনকে নয় এলাকার আরো কয়েকজনকে এই সোর্স বাদল খান মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে জেলেও পাঠিয়েছেন। সোর্স বাদল খান সে নিজে একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী তার কথা কেউ না শুনলে এবং তার মাদকের কাজে কে ব্যবহার না হলে তাকেই মাধব দিয়ে ফাঁসিয়ে জান হাজতে পাঠান এ হলো তার ব্যবসা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান বাদল খান এই এলাকার একটি আতঙ্কের নাম যাকে এক নামেই সবাই চিনে সোর্স বাদল খান। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ থেকে ছয়টা মামলা এখনো চলমান রয়েছে। কিন্তু যে স্বপনকে মাদক দিয়ে গ্রেফতার করানো হয়েছে সে আসলে একজন নিরীহ মানুষ তার পেশা সে একজন রাজমিস্ত্রি।
তারা আরো বলেন শেরপুর চরখারচর গ্রামের আতঙ্কের নাম বাদল সোর্স যার কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা আর সেই টাকা না দিলেই তাকে মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়,
কিছুদিন আগে স্বপন নামের এক ব্যক্তিকে বাদলের দোকানের সামনে আসতে বলে বাদল সোর্স এরপর তাকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেন।
এদিকে ভুক্তভোগী নির্দোষ স্বপনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন তার পরিবারসহ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্বপনের ভাই ও স্বপনের স্ত্রীর দাবি নির্দোষ স্বপনের মত আর কোন নিরীহ মানুষ যেন এরকম চক্রান্তে না পড়ে আমরা এ-ই সোর্স বাদলের বিচার সহ আমার নির্দোষ ভাইয়ের অবেলম্বে মুক্তি চাই এবং এলাকাবাসীর দাবি স্বপনের মুক্তি চাই এবং বাদলের ফাঁসি চাই।
আপনার মতামত লিখুন :