মো: রাসেল সরকারঃ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
এর মধ্যে মতিঝিল থানার মামলায় সাক্ষ্য দেন কাশেম আলী। অপরদিকে গাজীপুরের গাছা থানার মামলায় সাক্ষ্য দেন আসাদুজ্জামান।
এরপর রফিকুল মাদানীর আইনজীবী ফজলে রাব্বী ও অপর আসামি মাহমুদুল হাসানের আইনজীবী পাপিয়া আসামিদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ জুলাই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এ নিয়ে মতিঝিলের মামলায় ১০ জনের মধ্যে দুজন ও গাছা থানার ১৯ জনের মধ্যে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
ওইদিন দিনগত রাতে গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এ মামলায় রফিকুল মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন মতিঝিল থানায় রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়। এ বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ মামলায় ২০২১ সালের শেষের দিকে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর চলতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলাটিতেও চার্জগঠন করা হয়।
গত ১১ মে দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মতিঝিল থানার মামলার বাদী সৈয়দ আদনান ও গাজীপুর জেলার গাছা থানা মামলার র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :