নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরঃ অন্তবর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ফরিদা আখতার বলেছেন, শহীদের পরিবার আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে পরিবারগুলোতে উপার্জনকারী হিসাবে একমাত্র অবলম্বন ছিল তারা না ফেরার দেশে চলে গেছে। যাদের ভাই, স্বামী ও সন্তান এবং স্বজন হারা হয়েছেন তার বেদনার কান্না আজও থেমে নেই। সেই পরিবারকে আগলে রাখতে সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমি মনে করি একটু দেরি হয়েছে তাদের খোঁজখবর নিতে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা ও পূর্ণবাসন করার লক্ষ্যে কাজ করব।
অপরদিকে, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, আমাদের কাছে আহত নিহতের সংখ্যা আছে ২০ থেকে ২৫ হাজারে মতো। আমরা প্রত্যেকটি পরিবারের কাছে পৌঁছাতে চাই। তবে প্রতিটি পরিবারের কাছে পৌঁছানো খুব কঠিন কাজ। সাহসের প্রতীক হয়ে বিশ্বকে বাংলাদেশ চিনিয়েছে শহীদ আবু সাঈদ। রংপুরে জুলাই ছাত্র অভ্যুত্থানে নিহতের পরিবারকে অর্থ সহায়তায় সব সময় পাশে থাকবে অন্তরবর্তীকালীন সরকার।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করার পায়তারা চালাচ্ছে। এজন্য দেশকে সংস্কার করতে আরো একটু সময় প্রয়োজন। আপনারা একটু ধৈর্য ধারণ করুন। আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আমরা আপনাদের আগামী বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বদাই নিয়ে যেতে থাকবো।
শনিবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি হল রুমে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রংপুর বিভাগের মোট ৬৫ জন শহীদের মধ্যে ৪৪ জন শহীদ পরিবারকে নগত ৫ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ, সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে ৬৫ জন নিহত পরিবারের মধ্যে ৪৪ জন শহীদ পরিবারারে হাতে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্তিত ছিলেন, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিও শিন্ধ, জেলা ও মহানগরের সমন্বয়কসহ শহীদ পরিবার ও আহত পরিবার এবং ছাত্র জনতাবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :