এম রাসেল সরকারঃ লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা মো: হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মহানগর নয়াপল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লিবিয়ায় মানবপাচাকারী চক্রের মূল হোতা মো: হাফিজুর রহমান (৪৫), পিতা- আঃ ছাত্তার, গ্রাম- পোড়াবাড়ী (নাগবাড়ী), থানা- ঘাটাইল, জেলা- টাঙ্গাইল, ঢাকা মহানগর নয়াপল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব-১৪, সিপিসি-০৩।
গ্রেফতারকৃত আসামী হাফিজুর রহমান এর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, ক) ৮টি পাসপোর্ট খ) ২টি চেক বই গ) ১টি ডেবিট কার্ড ঘ) ১টি এনআইডি কার্ড ঙ) ২টি মোবাইল চ) ৩টি সীম কার্ড ছ) নগদ ১০,১৬০/- টাকা।
উল্লেখ্য যে, গত ০৩/০১/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ উপরোক্ত আসামী তার নিজ গ্রামের লিটন নামক এক ব্যক্তিকে ভাল বেতন ও থাকা-খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় প্রেরণ করে। লিবিয়ায় প্রেরণের পর সেখানে থাকা তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা কয়েক জন লোক লিটনকে আটকে রেখে মারধোর করে ভিকটিম লিটনকে দিয়ে তার বাবাকে ফোন করে বলায় যে, সে লিবিয়া পৌচেছে এবং ভাল আছে; সে তার বাবাকে বলে যে, মোঃ হাফিজুর রহমানকে ৩,২৫,০০০/- টাকা দিয়ে দিতে।
তখন ভিকটিমের পিতা মোঃ হাফিজুর রহমানকে ৩,২৫,০০০/- টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে গত ০৯/০২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ইমো নাম্বার থেকে বাদীকে ফোন করে তার পুত্র লিটনকে লিবিয়ায় আটক রেখে বেধরক মারধোরের ভিডিও দেখায় ও তার মুক্তিপণ বাবদ ১৩,০০,০০০/- (তেরো লক্ষ) টাকা দাবি করে অন্যথায় তার পুত্রকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এমন ঘটনায় লিটনের পিতা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানার মামলা নং-৫, তারিখঃ ১৪/০২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমল আইন, ২০১২ এর ৬/৭/৮/১০ ধারা তৎসহ পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৩৮৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় উপরোক্ত আসামীকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মোঃ হাফিজুর রহমান প্রথমে তার এক সহযোগী শফিক এর নিকট এবং শফিক অপর এক সহযোগী শাকিলের মাধ্যমে লিটনকে লিবিয়ায় প্রেরণ করে সেখানে আটক রেখে মারধোর করে মুক্তিপন দাবি করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ঘাটাইল থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।