খুলনা অফিসঃ লক্ষ লক্ষ মানুষ পানি বন্দী হয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। যাদের একমাত্র আয়ের উৎস হচ্ছে কৃষি সেই কৃষি ফসল, ঘের পানির নিচে তলিয়ে পথে বসেছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা, ফুলতলা ও কেশবপুর এলাকার সাতটি ইউনিয়নের ৪০ টি গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ। নেই ঘরে খাবার আশ্রয়ের জায়গা। আজ এক মাস ধরে তারা পানিবন্দি। এই বদ্ধ পানি পচে গিয়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ। এই সমস্যার সমাধান দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে বিগত দিনের সরকারের ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র। বটিয়াঘাটা নদীর মোহনা হতে সম্পূর্ণ ভদ্রা নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। নদীটি খননের জন্য কয়েকবার বাজেট হওয়া সত্বেও খনন কাজ আর হলো না। কইয়া বাজার সইলমারী খেয়াঘাট এলাকায় প্রফুল্ল বাবু নামের এক প্রভাবশালী সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের আমলে সে বিভিন্ন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভদ্রা নদীর চরে ন্যূনতম ৫০ বিঘা জমি দখল করে নিয়ে ইটের ভাটা ও মাছের হ্যাচারি তৈরি করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে এখনো বহাল তবিয়াদে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া নদীর মাঝ থেকে সরু জায়গা দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় সেখানে মোটা মোটা ৪০ টা বড় গাছ পুঁতে তার নিজ খরচে মজবুত করে কাঠের পোল তৈরি করেছে।এই পোলের উপর দিয়ে তার ইটের ভাটার গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে। সাধারণ মানুষের পারাপারে টোল আদায় করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই পোল তৈরির জন্য যে ৪০ টি খুঁটি পোতা হয়েছে এই চল্লিশটি খুঁটির কারণে ঠিকমত পারি নিষ্কাশন হতে পারছে না বরং আরো বেশি পলি পড়ে সম্পূর্ণ নদীটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে বিভিন্ন শাকসবজি ফসল ঘের ঘরবাড়ি তলিয়ে আজ তারা পথে বসেছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ও প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর জোর দাবি প্রফুল্ল বাবুর উচ্ছেদ চাই। নদী কেটে পানি সরিয়ে আমাদেরকে বাঁচান আমরা বাঁচতে চাই।
আপনার মতামত লিখুন :