• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে কোর্ট এভিডেভিটের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের হিড়িক!


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন /
লক্ষ্মীপুরে কোর্ট এভিডেভিটের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের হিড়িক!

এ.কে আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের আদালত প্রাঙ্গনে কোর্ট এফিডেবিটের মাধ্যমে বিয়ে পরানোর হিড়িক পড়েছে। কিছু অসাধু আইনজীবীরা দীর্ঘদিন যাবত বেআইনি ভাবে এ সব বিয়ে সম্পন্ন করে আসছে।ছেলে-মেয়ে নাবালক হলেই তাদের ব্যবসা হয় জামজমাট।প্রত্যেকটি ইউনিয়নে অসাধু আইনজীবীদের রয়েছে সিন্ডিকেট বাহিনী তথা সোর্স। এদের মাধ্যমে তথ্য পায় কোন ছেলে মেয়ে প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করে সংসার করতে চায়।

এমন সুযোগ নিয়ে অভিভাবক ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন করে দেয় ওই সব অসাধু আইনজীবী। আদালত প্রাঙ্গনে যে কোন আইনজীবীর চেম্বারে ভুয়া কাজী দ্বারা এ বিয়ে সম্পন্ন করে শুধুমাত্র স্টাম্পের উপর এভিডেভিডের সীল ব্যবহার করে। এতে বদনাম কুড়ায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। তার নাম ব্যবহার করে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা।

অভিযোগ উঠেছে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মুজিবুরের বিরুদ্ধে। যে দীর্ঘদিন মোহরার কাজ করতো, পরবর্তীতে নারী ও শিশু কোর্টের আইনজীবী আবুল বাশারের হাত ধরে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আইনজীবী হিসেবে নিজেকে পাকাপোক্ত করে নেয়।

মুজিবরের বাড়ী ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নে। সে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং অত্র ইউনিয়নের সাবেক আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ছিলো বলে জানা যায়।

এ বিষয় কথা হয় ভুক্তভোগী আবুল কালামের সঙ্গে। তিনি জানান, তার মেয়ে মিতু ৮ম শ্রেনীর নিয়মিত ছাত্রী থাকা অবস্থায় এলাকার বখাটে রাকিব নামের একটি ছেলে ফুসলিয়ে স্কুল থেকে বের করে নিয়ে
এ্যাডভোকেট মুজিবরের মাধ্যমে কোর্ট এভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করায়।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার মেয়েকে অনেকদিক খোঁজাখুজির মাধ্যমে জানতে পারি সে এখন নিয়মিত একজনের বৌ এবং সে সংসার করছে। আমি মুজিবের নিকট জানতে চাইলে সে বলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রের সামনে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেনে না নিয়ে আপনার কোন উপায় নেই। এই বাল্যবিবাহের কারনে আজ আমার মেয়ের সংসার ভেঙ্গে গেছে।

অপর এক ভুক্তভোগী পারুল বেগম জানান, তার নাবালক ছেলে মনা তাকেও ফুসলিয়ে কোর্ট এভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করায় এ্যাড. মুজিবর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিবর্গ জানান, এ পর্যন্ত ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়ন হতেই অন্তত দুই শতাধিক নাবালক ছেলে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করায় এই মুজিবর। এই বিয়ে সম্পন্ন করতে কত টাকা ব্যায় হয় জানতে চাইলে তারা বলেন সর্বনিম্ন ১০,০০০ ও উপরে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এর ভেতর একটা এমাউন্ট দিতে হয় যে দালালের মাধ্যমে এই কেসটি পায় তাকে।

সচেতন মহল বলছে, এসব অসাধু আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ আইনজীবী সমিতিকে। বাতিল করে দেওয়া উচিৎ সনদ।

এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট মজিবর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।