মিশারুল ইসলাম মনির, খুলনা অফিসঃ আগামীকাল শুক্রবার পহেলা বৈশাখ,চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে আজ ১৪২৯ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কাল যুক্ত হবে নতুন বছর ১৪৩০। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করবে বাঙালি জাতি। কাল পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে সারাদেশের ন্যায় মাতবে খুলনাবাসী

সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। সারা খুলনা জুড়ে থাকবে বর্ষ বরণের নানা আয়োজন।

বৈশাখ বা নববর্ষকে সাঁজাতে এবং উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনের মধ্যে শুধু পান্তা ইলিশই নয়, ঘরে ঘরে চলে পোলাও-কোরমা রান্না, কেনা-কাটা ও আত্বীয় স্বজনদের দাওয়াত করে খাওনোর নানা প্রস্তুতি। তবে রমজান মাস হওয়াতে সেই আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়বে। বৈশাখের এসব নানা আয়োজন প্রস্তুত করতে খুলনায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন জেলার বিভিন্ন কারু শিল্পীরা। বৈশাখের আগেই প্রস্তুত নববর্ষ বরণের নানা সরঞ্জামাদী ও মেলার পসরা।

বর্তমানে নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠবে খুলনা। কাল বর্ষবরণের এ উৎসব আমেজে মুখরিত থাকবে খুলনার আপামর জনগণ। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন এ অসাম্প্রদায়িক উৎসবে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন,জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ও জেলা শিশু একাডেমি,আলোচনাসভা,প্রদর্শনী, কুইজ,রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হবে নুতন বছরের শোভাযাত্রা ।

পহেলা বৈশাখ এবং বাংলা নব বর্ষের বর্ষবরণ ও বিভিন্ন স্থানে মেলা উপলক্ষে নব বর্ষের বর্ষ বরণ এবং বিভিন্ন স্থানের মেলায় মাটির পাতিল, বিভিন্ন খেলনা যেমন বাঘ, হরিণ, গরু, ঘোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশু-পাখি, ফুলের টব, রকমারী পুতুল তৈরি হয়ে গেছে।বৈশাখের এই অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষে খুলনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়ছে।