নিজস্ব প্রতিবেদক,রাজশাহীঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে এসব ঘটনা ঘটেছে। দুই প্রার্থীই প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জিল্লুর রহমান ও একরামুল হকের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় আহত হন আলাউদ্দীন,ফকরুল ইসলাম,আবু তাহের,জামাল হোসেন ও ছদরুল ইসলাম। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভালুকগাছি ইউপির স্বতন্ত্রপ্রার্থী একরামুল হক বলেন,ভোর থেকেই ইউপির তেলিপাড়া, এসআরজি, ফুলবাড়ি, নন্দনপুরসহ পাঁচটি ভোটকেন্দ্র দখল নিয়েছে জিল্লুর রহমানের লোকজন। ভোটাররা কেন্দ্রে আসলেও তারা ভয় দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীর মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। ধাকেড়াকুল এলাকায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে পাঁচজনকে আহত করা হয়েছে এই ভয়ে অনেক ভোটার ভয়ে কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না।
তবে জিল্লুর রহমান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,তার লোকজনকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিচ্ছেন একরামুলের লোকজন। বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে তারা হামলা করছে মারপিট করছে সাধারণ ভোটারদের। আমার লোকজনকে। পুলিশ ধাওয়া দিচ্ছে ধরপাকড় করছে। ভোটররা এসব নিয়ে ভীত।
তবে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন,সকালের দিকে কোন কোন এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা ছিলো।ধোকড়াকুল এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা ভোটকেন্দ্রের বাইরে। ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। সবখানে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :