
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট, রাজশাহীঃ “সংঘাত নয়, শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর চারঘাটে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় চারঘাট পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দি হাংগার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় উপজেলা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর আয়োজনে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত ,পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ ও পবিত্র বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
চারঘাট উপজেলা (পিএফজি) কো- অরডিনেটর সনি আজাদ এর সঞ্চালনায় ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চারঘাট উপজেলার সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, চারঘাট মডেল থানার (ওসি) মিজানুর রহমান।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য, সংলাপের সার সংক্ষেপ ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর রাজশাহী জেলার কো- অরডিনেটর এস এম শফিকুর রহমান। তিনি সংলাপের ১১ টি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশা, উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারি আইয়ুব আলী, রাজশাহী পূর্ব জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ব্রজহরি দাস, উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান, চারঘাট মহিলা কলেজের শিক্ষক এখলাক হোসেন, চারঘাট মডেল মসজিদের ইমাম আতিকুর রহমান, পুরোহিত কৃষ্ণ কুমার, উপজেলা আদিবাসী পরিষদের সভাপতি ষষ্ঠী পাহাড়িয়া, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, চারঘাট রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি ওবাইদুল ইসলাম রবি সহ উপজেলার বিভিন্ন জামে মসজিদের ইমাম, স্কুল শিক্ষক, সাংবাদিক, পুরোহিত, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রাদায়ের মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম কখনও বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে না। কিন্ত বিপথগামী মানুষ ধর্মকে পুজি করে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে, যা থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সেজন্য সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। গুজবে কান না দিয়ে সত্য তথ্য জানতে হবে। কেউ যেন গুজব বা উস্কানী না দেয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি অসম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মানবিক ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। যেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও সংস্কৃতিক মানুষ নিরাপদ থাকবে।
সবশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী স্বাক্ষর করেন।
আপনার মতামত লিখুন :