এম রাসেল সরকার,ঢাকাঃ মদ নারী তাস এই তিনই সর্বনাশ। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর আবাসিক হোটেল গুলোতে গড়ে উঠেছে নারী ব্যাবসার আখড়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। যাত্রাবাড়ীতে সামিউল্লাহ প্লাজা মার্কেটের। ঢাকা সেন্ট্রাল চক্ষু হাসপাতালের উপরে। নিউ বলাকা আবাসিক হোটেল ও পপুলার আবাসিক হোটেল। যাত্রাবাড়ীর বাজারের ভেতরের ইউনুস মার্কেটের ভবনের চার তলায় অবস্থিত। এই দুই হোটেলেই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। যা আশে পাশের পরিবেশ নষ্ট করছে। হঠাৎ চোখে পড়ে শান্ত শরীফ ও সখি ভাই নামের তিনটি ভিজিটং কার্ড। যাতে লেখা আছে নিউ বলাকা হোটেল আবাসিক ও হোটেল (আবাসিক) যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা। মানুষের হাতে হাতে ও রাস্তায় ছড়িয়ে রাখা তাদের নাম দেয়া ভিজিটিং কার্ড। প্রথমে শরীফ নামের ব্যক্তির কার্ডের নাম্বারে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাদের দেয়া ভিজিটিং কার্ডের নাম্বারে কল করে মুঠো ফোনে কথা হয় শান্ত নামের এক হোটেল কর্মচারী সাথে।
তাদের দেয়া এই কার্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে শান্ত জানায়। এখানে স্কুল কলেজের মেয়ে দিয়ে ইনজয় করা হয়। বা আপনি যদি গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে আসেন তাহলে রুম ভাড়া দেয়া হয়। তার কাছে নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে। এখানে কোন সমস্যা নেই এটা আমাদের লাইসেন্স করা প্রতিষ্টান। আপনি আগে দেখবেন তারপর সার্ভিস নিবেন।
প্রশাসনিক ঝামেলা বা লাইসেন্স সম্পর্কে জানতে চাইলে শান্ত জানায় প্রশাসন কে প্রতিমাসে মাশোহারা দিয়ে আমরা এই প্রতিষ্টান চালাচ্ছি। থানার সামনেই আমাদের এই প্রতিষ্টান। থানায় টাকা না দিলে তো আর ব্যবসা করতে পারি না।ঠিক একি কথা বলেছেন হোটেল নিউ পপুলার আবাসিকের কর্মচারী সখি।
জানতে পারি হোটলে নিউ বলাকা আবাসিক হোটেলের মালিক পলাশ ও হোটেল নিউ পপুলার আবাসিকের মালিক জামাল। তাদের এই হোটেলের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাসুম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে জানায় আমি নিজেই একাধিক বার উচ্ছেদ করেছি। তবুও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা একটি ব্যবস্থা নিন। প্রশাসন কে মাশোহারা দিয়ে এই হোটেল ব্যবসা চলছে এই বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে জানায়। এগুলো সবাই বলে আপনি যা শুনেছেন তা লিখে দেন। আমাদের মন মানুষিকতা এত নিচু না। এসব হোটেলের বন্ধের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন জানতে চাইলে ধন্যবাদ বলে ফোন কেটে দেয়।
তাহলে কি হোটেল কর্মচারীদের কথাই ঠিক। প্রশাসন কে মাশোহারা দিয়েই চলছে তাদের এই অসামাজিক কার্যকলাপ।
আপনার মতামত লিখুন :