মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন রায়েরবাগ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ডাকাতির প্রস্তÍতিকালে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের মূল হোতাসহ ০৩ ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের নাম ১। ইছা খাঁ @ রাজ্জাক (৩৪), ২। সৈয়দ জসিম উদ্দিন (৫০) ও ৩। নুর ইসলাম (২৮) বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ০১টি একনলা বন্দুক, ০৩ রাউন্ড এ্যামুনেশন (গুলি), ০১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ০২টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ০৫টি মোবাইল ফোন ও নগদ- ২,১৮০/- (দুই হাজার একশত আশি) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য যাদের মূল নেতৃত্বে রয়েছে ইছা খাঁ @ রাজ্জাক। তারা গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চাঁদপুর, পাটুয়াখালী ও কুড়িগ্রামে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করেছে বলে জানায়। এছাড়া তারা বড় বড় ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করত এবং ডাকাতির কাজে কেউ বাধা প্রদান করলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানসহ অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও গুরুতর জখম করত।
তারা প্রতি মাসে ২/৩টি ডাকাতি করত বলে স্বীকারোক্তি দেয়। তারা ডাকাতির পূর্বে স্থান নির্ধারণ করে বেশ কয়েকবার রেকি করে তারপর অস্ত্রশস্ত্র ও ডাকাতির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে তাদের নির্ধারিত স্থানে ডাকাতি করত বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সর্দার রাজ্জাক কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি চক্রের নেতৃত্ব প্রদান করে আসছিল। তার নির্দেশে উক্ত ডাকাত দলের সকল সদস্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করত। তার নেতৃত্বে উক্ত ডাকাত চক্রটি উল্লেখিত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদেশ থেকে আগত প্রবাসিদের বাড়িতে এবং বিভিন্ন মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত জসিম বরগুনা জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে ডাকাত চক্রটির তথ্য সংগ্রহকারী ও দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে ২০১৩ সালের মগবাজারের চাঞ্চল্যকর বিদেশীর বাড়ীতে ডাকাতির সময় কেয়ারটেকার হত্যা মামলার হত্যাকারী বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত নুর ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে রাজ্জাকের সাথে ডাকাতি চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিল। নুর ইসলামের আশ্রয়স্থলে ডাকাতির সমস্ত পরিকল্পনা করা হতো এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সকল অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি তার দায়িত্বে তাদের গোপন আস্তানায় রাখা হতো বলে জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :