• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

রাজধানীর মিরপুরে হোটেলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার সাংবাদিক ইমন


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৪, ২০২৩, ৫:৫৮ অপরাহ্ন / ৫৭
রাজধানীর মিরপুরে হোটেলে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার সাংবাদিক ইমন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ রাজধানী মিরপুরের একটি আবাসিক হোটেলে আনন্দ টিভির সাংবাদিক ইমন ও হোটেল কর্মচারীদের সাথে মারামারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে শাহ আলী থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে আনন্দ টিভির মিরপুর প্রতিনিধি ইমন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরের একটি আবাসিক হোটেল নিউ লন্ডন প্যালেসে গত সোমবার দুপুরে আনন্দ টিভির রিপোর্টার ইমন ও সাথে তার ক্যামেরা ম্যানকে নিয়ে হোটেলে যায়। ওখানে দায়িত্ব থাকা ম্যানেজারকে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন আপনাদের এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আমরা সব জানি আমরা নিউজ করবো নয় পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবো, হোটেলের ম্যানেজার বলেন আমাদের এখানে কোন অবৈধ কাজ হয়না আপনারা আসছেন চা খেয়ে চলে যান।

তখন আনন্দ টিভির সাংবাদিকরা বলেন চা খেতে আসিনি আমাদের ৫০০০/= (পাঁচ হাজার টাকা) দেন আমরা চুপচাপ চলে যাই কোন নিউজ ও হবেনা পুলিশ ও আসবেনা কেউ জানবে না।হোটেলের ম্যানেজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন আনন্দ টিভির লোকজন তাদের উপরে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়, এবং ক্যামেরা বের করে ভিডিও করার চেষ্টা করে ভিডিও করতে বাধা দিলে হোটেলের ম্যানেজারকে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে জোর করে ভিডিও করার চেষ্টা করে এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন হোটেলের ম্যানেজার আতিক।

এ বিষয়ে হোটেল মালিক মারুফের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানা আমি আমার গ্রামের বাড়িতে আছি, কিছুই জানিনা।

হোটেল কর্তৃপক্ষ আরো বলেন আনন্দ টিভিতে আমাদেরকে নিয়ে একটি ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করেন তারা সংবাদের মধ্যে যেসব নারীদের ভিডিও সংযোগ করে দিয়েছে সেসব নারী আমাদের হোটেলের না বিভিন্ন জায়গা থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে আমাদের হোটেলের এই ঘটনার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। তারা আরো বলেন এসব ভিডিও অনেক আগে অনলাইন ইউটিউবে মানুষ ছেড়েছে সেখান থেকে তারা নিয়েছে আপনারা চাইলে যাচাই করে দেখতে পারেন।

হঠাৎ করে আনন্দ টিভির সাংবাদিক বনে যাওয়া ইমনের বিষয়ে জানা যায়, আনন্দ টিভির সাংবাদিক ইমন ২০২২ সালে রূপনগরে একটি আবাসিক ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে নাম দেন রুপনগর ক্লাব নাম দিয়ে এসব ব্যবসা ক্যাসিনো অর্থাৎ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করত এবং সাথে নারী ও মাদক সরবরাহ করতো বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে র‍্যাব-৪ এ, অভিযোগ গেলে র‍্যাব-৪ তার ক্যাসিনো ফ্ল্যাটে অভিযান চালালে ইমন খবর পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। রূপনগর থানাধীন রূপনগর ক্লাবের জুয়ার বোর্ড থেকে র‌্যাব সদস্যরা নগদ ৭২ হাজার ২শ ৩৫ টাকা, বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের ৪৭টা মোবাইল ফোন, ১৮টা মানিব্যাগ ও ৮ সেট তাস উদ্ধার করে।