মোঃ রাসেল সরকার,ঢাকাঃ মাত্র চার হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় মাইক্রোবাস, তারপর সারাদিনের জন্য চলে অভিযান। তারপর টার্গেট করে নিরীহ লোকজনকে মাইক্রোতে তুলে প্রথমে পড়ানো হয় হ্যান্ডকাফ। ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পর সড়কের নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়া হয় ভুক্তভোগীকে। রাজধানীতে সক্রিয় এরকম কয়েকজন ভুয়া ডিবি পুলিশকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
শামীম হোসেন, থাকেন রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুর। কাজ করেন পল্টনে একটি মানি এক্সচেঞ্জে। গেলো ২৬ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় ছিনতাইয়ের একটি মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন ১৩ ডিসেম্বর অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার পথে মতিঝিলে তার রিকশার গতি রোধ করে একটি মাইক্রোবাসে থাকা চার ব্যক্তি। যারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে শামীমকে মাইক্রোতে তুলেই পরিয়ে দেয় হাতকড়া। তারপর টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে নির্জন কোনো জায়গায় ফেলে দেয়া হয় তাকে।
শামীমের কথার সত্যতা মিলে সেদিনের সিসিক্যামেরার ফুটেজেও। যেখানে দেখা যায় সামনের রিকশায় শামীম, আর ঠিক তার পিছনেই রয়েছে কথিত ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাস। শ্রীনগরের নির্জন সড়কে শামীমকে ফেলে দেয়ার আগে টোল প্লাজায় শামীমকে জিম্মি করা কথিত ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাস।
সত্যের অনুসন্ধান টিমের কথা হয় মাইক্রোবাস চালকের সঙ্গে। তিনি জানান ভুয়া ডিবি পুলিশের কর্মকাণ্ড।মাইক্রোবাসের এই চালকের কাছে নিজেদের সত্যিকারের ডিবি পুলিশ প্রমাণ করতে চেষ্টাও করেন ভুয়া ডিবি পুলিশ।
একটি নয় এরকম ভুয়া ডিবি পুলিশের আরো চক্র ধরতে নজরদারি বাড়িয়েছে গোয়েন্দারা।
আপনার মতামত লিখুন :