মোঃ রাসেল সরকারঃ রাজধানীতে পুলিশের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে আহত হয়েছেন ইফতেখার হাসান মেহেদী (৩৮) নামে এক যুবক। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শাহবাগ থানার সহকারী সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) ইদ্রিস আলী (৩০)।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ থানা এলাকার তিন নেতার মাজারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মেহেদী জানান, মতিঝিল এজিবি কলোনীতে ‘মামুন অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামে একটি ডেকোরেশন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। বিকালে তিনি তার কর্মচারি রিদওয়ানকে (১৭) নিয়ে একটি কাজে তিন নেতার মাজার এলাকায় যান। কাজে ভুল করায় তিনি কর্মচারি রিদওয়ানকে সামান্য বকাঝকা এবং মারধর করেন। এতে সে চেঁচামেচি করলে পাশেই ডিউটিতে থাকা শাহবাগ থানার এএসআই ইদ্রিস আলী এগিয়ে যান।
মেহেদী অভিযোগ করে জানান, তখন এএসআই ইদ্রিস তাকে মারধর করেন। গ্রিলের ভাঙা লোহার টুকরা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। ঘটনার পর থেকে তার পকেটে থাকা ৮ হাজার টাকা ভর্তি মানিব্যাগটি খুঁজে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন মেহেদী।
এদিকে, আহত পুলিশ কর্মকর্তা ইদ্রিস জানান, মাজারের ভেতরে মেহেদী রিদওয়ান নামে ওই কিশোরকে মারধর করছিলেন। তখন এগিয়ে গিয়ে তাদের মারামারি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মেহেদী তার ওপর চড়াও হন এবং তার ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন। তার হাতে থাকা ওয়াকিটকিও ভেঙে ফেলেন। তখন আটকাতে গেলে পড়ে গিয়ে আহত হন মেহেদী।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, তিন নেতার মাজারের ভেতরে মারামারি থামাতে গেলে পুলিশের ওই কর্মকর্তার ওপর চড়াও হন মেহেদী নামে এক যুবক। তখন পুলিশ তাকে চড় থাপ্পড় মেরে রাস্তায় নিয়ে আসছিলেন। এ সময় তিনি এএসআই ইদ্রিসের ইউনিফর্ম ধরে তাকে মারধর করেন। এতে পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে যায় ও ওয়াকিটকি ভেঙে যায়।
তিনি আরো জানান, ওই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে ও পুলিশ কর্মকর্তা ইদ্রিসকে ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :