
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরঃ ভোটের অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কোন প্রকার সুফল দেখছি না ‘রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি, কার্ভাড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন’ (রেজি নং রাজ-৯২১)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাচারী কর্তৃত্বে শ্রম আইন ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অনিয়মের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাঙ্ক লরি, কার্ভাড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং রাজ-৯২১)-এর সাধারণ সদস্যদের পক্ষ হতে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহে জানতে পেরেছি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের কথা। ইউনিয়নটির কার্যনির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাচারী কর্তৃত্বে ও আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তার যোগ-সাজসে শ্রম আইন, গঠনতন্ত্র ও বিধিসম্মত প্রক্রিয়া লঙ্ঘনপূর্বক ইউনিয়নটির সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নামে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, বহিরাগত লোকজন দ্বারা শতাধিক শাখা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা প্রকৃত শ্রমিকদের ভোটাধিকারকে ক্ষুন্ন করবে। শ্রমিকের মিথ্যা পরিচয়ে ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে শত- শত ভুয়া ভোটার নিবন্ধন করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে পাতানো নির্বাচন ছাড়া কিছুই নয়, এই নির্বাচন সংঘটিত হলে প্রকৃত সাধারণ শ্রমিকরা কোনদিনও তাদের অধিকার আদায় করতে পারবে না। গঠনতন্ত্রের বিধি লংঘন করে কোরামহীন সাধারণ সভায় নিজেদের পছন্দের লোকজন দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর রংপুর কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায়-এ অনিয়ম ও নির্বাচনের নামে অন্যায়ভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়েরের পরও, তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ জানাতে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার দুপুর ১২ টায়, স্থানীয় আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে অবহিতকরণ পত্র সংশ্লিষ্ট সকল মহলে প্রদান করে। অথচ তাদের অবহিতকরণ পত্র পাওয়ার পরও, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর রংপুর কার্যালয়ের সাবদার হোসেন নামিয় একজন অফিস সহকারীর সহায়তায়; উপপরিচালক স্বয়ং ইউনিয়নের বহাল থাকা কার্যনির্বাহী কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে ডেকে নিয়ে যোগ সাজসিকভাবে একই স্থানে পাল্টা মানববন্ধন ডেকে, তাদের ন্যায্য আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা করেছে।
সাধারণ শ্রমিকরা চায় এই অবৈধ নির্বাচন প্রক্রিয়া অবিলম্বে স্থগিত করা হোক। আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক। প্রকৃত শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নতুনভাবে সাধারণ সভা, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করা হোক। তারা আশা করে এই ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানান সাধারণ শ্রমিকগণ।
আপনার মতামত লিখুন :