রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুরে দ্বীপা আক্তার নামের এক ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের দাবিতে ১০ শ্রেণীর মারুফ (১৭)নামের প্রেমিকের বাড়িতে ২দিন ধরে অনশন । প্রেমিকের লোকজনের মারপিট করে বের করার চেষ্টা ব্যহত। প্রেমিক উধাও।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, রংপুর মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের নাজিরদিগর বনগ্রামের অটো চালক বাহারুল ইসলামের ৯ম শ্রেণীর কন্যা ও একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে একই স্কুলে পড়াশুনার সুবাদে একই সাথে যাতায়াত করে আসছিল। সেই সুত্র ধরেই উভয়ের মধ্যে গত ২ বছর যাবৎ প্রেম ভালবাসা চলছিল। গত কয়েকদিন ধরে তারা নিজেরা পরিবারের অজান্তেই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রেমিক প্রেমিকাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠে পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকে। ছেলের অভিভাবকরা বিষয়টি দেখে ফেলায় মেয়েকে মারধর ও গালমন্দ দিয়ে অনেক চেষ্টা করেও বের করতে পারেনি। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর, এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পুলিশের সহায়তা চাইলে উভয় পরিবারকে পুলিশ থানায় ডেকে নেয়। ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তাদের উভয় পরিবারের মাঝে সমঝোতা করে একটি ডিড এগ্রিমেন্ট মাধ্যমে সমাধানের জন্য কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সামছুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু ছেলেপক্ষ রাগারাগি করে সেই সমঝোতা মেনে না নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে প্রেমিকা আবারও ছেলের বাড়ির গেইটে গিয়ে অনশনে আবারও যোগদেয়। এসময় তাকে বেশ কজন মহিলা ও পুরুষ মিলে অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর করেম ভাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। আহত অবস্থায়ও সে অনড় থাকে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনশন চলছিল।
প্যানেল মেয়র সামছুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করলেও ছেলেপক্ষ কোন সাড়া দেয়নি। নারী-শিশু বিষয় হেতু আমি আইনের লোকের সহায়তা চাই।
অন্যদিকে, মেয়ের বাবা অটো চালক বলেন, আমি গরিব মানুষ। আর ছেলেপক্ষ প্রভাবশালী। আমার মেয়ের ইজ্জতহানী করেছে। তাই আমি আইন ও স্থানীয় গন্যমান্যসহ অনেকের সহায়তায় বিষয়টি সুরাহার কামনা করেছি। এতেও যদি কোন কিনারা না হয়। তবে আমি মামলায় যাবো।
ছেলেপক্ষের কেউই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নারাজ।
ওসি তাজহাট মেট্রো থানা নাজমুল কাদের বলেন, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমার কাছে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানালে আমি স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্যদের কাছে সোপর্দ করি। যদি কেউ অভিযো বা এজাহার করেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নিব।