
আজিজুল ইসলাম, শার্শা, যশোরঃ যশোরের শার্শার উলাশী ইউনিয়ন এর সম্মন্ধকাটি গ্রামের একটি বাগানে বারোমাসি কাটিমন জাতের আম চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন রাজু আহমেদ নামের এক যুবক। তিনি উত্তরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
কৃষি পরিবারের সন্তান হওয়ায় রাজু আহম্মেদ বিগত ১৫ বছর যাবৎ চাষ আবাদের সাথে জড়িত। এই বিশ্বয়ানের যুগে কৃষিতে যুগ উপোযগি চাষের সন্ধানে যোগাযোগ রাখেন স্থানীয় কৃষি অফিসে। যার ফলে গত চার বছর পূর্বে শার্শা কৃষি অফিসের সহওয়াতায় ঘুরতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার আবুল কাসেমের বারোমাসি আমের বাগানে। তখন কাসেমের চোখ জুড়ানো আমের বাগান দেখে বারো মাসি আম চাষের সিদ্ধান্ত নেন রাজু। এরপর কাসেমের বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে তাতে বাগান লাগান রাজু।
চারা রোপণের দুই বছর বয়স হতেই বাগানে ফল আসতে শুরু করে। চলতি বছরের আগষ্ট হতেই রাজু তার বাগানে আম ভাঙতে শুরু করেন। প্রতি বিঘা জমিতে প্রয় পঁয়ত্রিশ মন আম উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজু ,প্রতি কেজি আম বাগান হতে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে।বর্তমানে ১ বিঘা জমি হতে রাজুর এক সিজনে আয় ৪০ হাজার টাকা।তিন সিজনে আয় প্রয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম ব্যাবসায়ীরা রাজু’র বাগান থেকে আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।কুরিয়ারের মাধ্যমেও রাজু আম ও আমের চারা পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে। টিভি ও পত্রপত্রিকায় অসময়ে মিষ্টি আমের সংবাদ শুনে দূরদূরান্ত হতে আম বাগান পরিদর্শনে আসছেন দর্শনাথীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার শাহ্ বলেন অসময়ে আম উৎপাদন একটি ঝুকি পূর্ণ কাজ,তাই আমি প্রতি নিয়ত রাজু আহম্মেদের বাগানের খোজ রাখি,ও পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন রাজু আহম্মেদের মত কৃষক আমাদের গর্ব,যদি কেউ নতুন ফল ও ফসল উৎপাদন করতে চায় আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।
আপনার মতামত লিখুন :