আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি হলেও প্রভাব পড়েনি ডিমের বাজারে। ডিমের বাজার এখনও অস্থিতিশীল।
বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই বারে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রথম চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিচ ডিম আমদানি করা হয় , একই পরিমান ডিমের চালান আসে রাতে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী রাতুল ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে আরো ৪২ লাখ পিস ডিম আমদানি করা হবে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০ টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়েেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে এক টাকা ৮৪ পয়সা খরচ সহ প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য পড়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে দুটি চালানে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস ডিম আমদানি করেছে। কোলকাতার শ্রী লক্ষী নারায়ণ ভান্ডার ডিমগুলো রপ্তানি করেন।
জানা গেছে, ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো ভারত থেকে এবারও দুটি চালানে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮০ পিস ডিম আনা হয়েছে। ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা দরে। প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা। এই শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেতো বলে মন্তব্য আমদানি কারকদের। উল্লেখ্য সব খরচ মিলিয়ে প্রতি পিচ ডিম ৭ টাকা ৫০ পয়সা কেনা আসলেও খোলা বাজারে প্রতি পিচ ডিম ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী পরিচালক কাজী রতন বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালাটি খালাস করে দেওয়া হবে । ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :