নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোরঃ যশোর জেলার শার্শা উপজেলাধীন বেনাপোল বাজার কেন্দ্রে অবস্থিত একটি ৫তলা ভবন থেকে শরীকদের উৎখাত করতে তার সৎ ভাই-বোন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৬ এপ্রিল সকালে, ওই ভবনে সরেজমিনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গেলে, ভবনের ৩য় তলায় বসবাসকারী ভবন মালিক মৃত হাজী আব্দুল গনি’র ১ম স্ত্রী’র একমাত্র সন্তান ভুক্তভোগী মোছাঃ নাসিমা বেগম জানান, “তার পিতা মৃত হাজী আব্দুল গনি ১৯৯৬ সালে এই ৫তলা ভবণ নির্মান করেন, ভবন উদ্বোধনের শুরু থেকেই আমি এবং আমার মা মনোয়ারা বেগম ৩য় তলার দুটি ইউনিটটিতে আমরা বসবাস করে চলেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় ২০১৭ সালে আমার পিতা হাজী আব্দুল গনি মারা যাওয়ার পর, আমার সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টু এবং আমার সৎ বোন হালিমা খাতুন আমাকে এবং আমার মায়ের জীবিকা নির্বাহের জন্য শুধুমাত্র ভবনের ১ম তলায় নির্মিত মার্কেটের ২টি দোকান ভাড়া ছাড়া পিতার সকল সম্পত্তি থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করে রাখে, এমনকি পিতার রেখে যাওয়া একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “মেসার্স গনি এন্ড সন্স”(সিএন্ডএফ এজেন্ট) সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টু তার নিজ ভোগ দখলে রাখে।
“পিতার রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের সমভাগের দাবী জানালে, সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টু এবং সৎ বোন হালিমা খাতুন পিতার রেখে যাওয়া একমাত্র আশ্রয়স্থল এই ৫তলা ভবন থেকে আমাদেরকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। সকল প্রকার চেষ্টা চালিয়ে এবং অন্যদের মাধ্যমে হুমকি-ধামকি দিয়ে আমাদেরকে ভবন থেকে তাড়াতে না পেরে, আমিনুর রহমান ঝন্টু তার মামাদের সহযোগীতায় ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার পরিকল্পনা করে।
“ভবনটি হেলে পড়ে মানুষের জানমাল বিনষ্ট হতে পারে” এই মর্মে একটি ‘মিথ্যা হয়রানিমূল অভিযোগ লিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেনাপোল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে, ঝন্টু’র ৪ মামা যথাক্রমে-রমজান আলী ওরফে কালু বিহারী, ফরহাদ হোসেন, শাহাজান আলী ও জাহাঙ্গীর হোসেন।
উল্লেখ্য, আমার পিতা হাজী আব্দুল গনি একজন সফল সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, ৫তলা ভবন নির্মাণে তিনি কোন প্রকার জটিলতা রেখে এই বহুতল ভবনটি নির্মান করেন নি, যা সহজেই হেলে পড়বে, মাত্রা অতিরিক্ত ভুমিকম্প ছাড়া ভবনটি হেলে পড়ার কোন সম্ভাবনাই নেই”।
সর্বশেষ, বেনাপোল পৌর কূতৃপক্ষের নির্দেশনা ব্যতিরেকে গত ২৪ এপ্রিল/২০২৩ ইং তারিখ সৎ ভাই আমিনুর রহমান ঝন্টু তাদের পৈত্রিক ভবন এর ৫ তলার ছাদ ভাঙ্গার প্রচেষ্টা করলে আমি নাসিমা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সহায়তা কামনা করলে, সেখানকার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব কামাল হোসেন ভূইয়া বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, শার্শা উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক আইয়ুব হোসেন পক্ষী’কে নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ঐদিনই সকলে সমন্বিত সিদ্বান্ত দেন যে, আমিনুর রহমান ঝন্টু তার বৈমাতা ও বোন কে তাদের প্রাপ্য অংশ (৩ য় তলার ২ টি ফ্লাট ও ২ টি দোকান ) ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে (বন্ঠন নামা) লিখে দিবেন। কিন্তু এই মর্মে সকল খসড়া হলেও মূল স্ট্যাম্পে এখনও তারা সহি-স্বাক্ষর সম্পাদন করে নাই, কেবলমাত্র বৈমাতা ও বোন নাসিমা বেগম’কে পিতা আলহাজ্ব আঃ গনি সাহেবের রেখে যাওয়া সি এন্ড এফ লাইসেন্স ও ৫ তলা বিল্ডিং এর মালিকানা না দেবার জন্যই সৎ ভাই ও বোন এই নাটকীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে নাসিমা বেগম জানান।
আপনার মতামত লিখুন :