
আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ পবিত্র রমজান শুরুর আগেই যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারে পাকা কলার দাম বেড়েছে দ্বিগুন। সারাদিন রোজা রাখার পর পাঁকা কলা রোজাদারদের খুবই প্রিয়। বিশেষ করে সেহরির সময় পাঁকা কলা না হলে যেনো চলেই না। এ জন্য রমজান এলে পাঁকা কলার একটু বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। পুষ্টিকর হওয়ায় কলা পাকা গরিব থেকে ধনী সবারই প্রিয়। সারা বছরই থাকে এর চাহিদা। বাজারে পাকা কলার কোনো ঘাটতি নেই। তবুও রোজাকে পুঁজি করে এর দাম বাড়ানো হয়। রমজানকে পুঁজিকরে বাগআঁচড়া বাজারে কলার বাজারে দ্বিগুন দামে কলা বিক্রী হচ্ছে।
গত ১৫ দিন আগেও যে কলা বিক্রি হয়েছে আকার ভেদে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। রোজার শুরুর আগের দিন থেকে এক লাফেই সেই কলার দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। সাগর কলা ১৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা সেই কলা এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। রমজানের আগের দিন থেকে হঠাৎ এত দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোক্তা ও ক্রেতারা। চড়া দামের জন্য রোজায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা।
বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। দাম বাড়াবে বলেই সংকট তৈরি করছেন বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজান শুরুর আগের দিন অনেকেই কলা কিনতে ভিড় জমান বাগআঁচড়া বাজারে। তবে তাদের কাছ থেকে কলা ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
শনিবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, কলা ব্যবসায়ীরা একটু ভালো মানের কলা বিক্রি করছে ১০০ টাকা কেজি।মাঝারি কলা ৮০ টাকা।সাগর কলা ৭৫ থেকে ৮০ টাকা।
কলা ব্যবসায়ী শামীম জানান, বর্তমানে বাজারে কলা ৭০ থেকে ৮০টাকা, সাগর কলা (বড়) ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে তাদের কিনতে হচ্ছে। তাই একটু বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দরদাম করলেও কোনো কলার দাম কমানো যাচ্ছে না। বেশি দামে কেনা। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) জানান, উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বাজার মনিটরিং শুরু করেছে। কোন ব্যবসায়ী যদি পবিত্র রমজানকে পুঁজি করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :