
আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাঙ্গনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার সময় ঝিকরগাছা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর লোকজনের বিরোধ বাধে। এতে ঝিকরগাছা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আঁখি খাতুন এবং আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর একজন কর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা আহবায়ক মাহমুদ হাসান এবং সদস্য সচিব আঁখির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১৫/১৮ জনের একটি দল হাতুড়ি, শাবল নিয়ে ভাস্কর্য ভাঙা শুরু করে। এরই মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আজহারুল ইসলাম উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার জন্য এক যোগে কাজ করবে বলে আমন্ত্রণ জানালে ৭/৮ টি মোটর সাইকেল যোগে ১০/১২ জন সংগী সহ আতাউর রহমান বিক্রমপুরী ঝিকরগাছা উপজেলায় চলে আসেন। এসময় আতাউর রহমান বিক্রমপুরী ফেসবুকে লাইভ করার জন্য ক্যামেরা ওপেন করলে ঝিকরগাছা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক তাদেরকে লাইভ করতে নিষেধ করেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক বির্তকের মাঝে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে কেউ একজন চাকু দ্বারা আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর সহযোগী যশোরের সুজলপুরের খোকন খলিফার ছেলে আঘাতে সাকিব খলিফা(২০) কে আঘাত করে। এসময় ঝিকরগাছা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সদস্য সচিব আঁখি খাতুনের হাত মচকে যায়। সাকিবকে সাড়ে ৭ টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কর্মী আল আমিন জানান মাস্ক পরা কিছু লোক তাদের মধ্যে ছিলো এবং এই মাস্ক পরাদের মধ্যে একজন সাকিবকে চাকু মেরে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাকে সনাক্ত করা যায়নি।
ঝিকরগাছা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক মাহমুদ হাসান বলেন আমরা আমাদের মত কাজ করছিলাম। এমন সময় আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর লোকজন এসে ফেসবুকে লাইভ করতে চাইলে আমরা নিষেধ করি। তখন তারা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম কটুকথা বলতে থাকে। এসময় রবিন প্রতিবাদ জানালে তাদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। রবিন কে রক্ষা করতে গিয়ে সদস্য সচিব আঁখির হাত মচকে যায়। সাকিব নামের ঐ ছেলেকে আমাদের কেউ আঘাত করেনি। ৩য় কোনো পক্ষ সুযোগ নিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে তিনি জানান।
ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান খান বলেন ঘটনা শুনেই আমার অফিসার সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। এই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :