নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজারঃ কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সার্ভেয়ারের যোগসাজোসে ঈদগাঁও এবং ফুলছড়ি রেঞ্জ অফিস ম্যানেজ করে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আওয়ালিয়া বাদের প্রভাবশালী পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটের এক সদস্য। উত্তর বন বিভাগের সার্ভেয়ার ও এসিএফ`র যোগসাজোসে কয়েক লাখ টাকায় বন বিভাগের নিম্নস্তর থেকে উচ্চ পর্যায়েরও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মোহাম্মদ নাঈম (প্রকাশ নাঈম হুজুর) ইসলামাবাদ ফকিরাবাজারের প্বার্শেই বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। নাঈম এবং তার ভাইয়েরা সবাই নাম না জানা বিদেশী সংস্থার সাথে জড়িত ! তাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসা`র সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে বলে গুরুতর অভিযোগও রয়েছে স্থানীয়দের। তারা যে রোহিঙ্গা পরিবার স্থানীয়ভাবে তা রেওয়াজ আছে।
সরেজমিন রিপোর্টে স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন মহলের মাধ্যমে জানা যায়, মোটা অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে। উক্ত রিজার্ভ জায়গায় সীমানা নির্ধারনে এসিএফ, দুই রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ সার্ভেয়ার রবিউল আলম সরেজমিনে আসার কথা থাকলেও কোন এক অদৃশ্য কারণে তার ব্যস্ততা দেখিয়ে সীমানা বিরোধ সার্ভে করে মিমাংসা করা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন বলেন, নাঈম এবং তার ভাই তৈয়ব তাদের পারিবারিক সিন্ডিকেটের পরিচালক। নাপিতখালী এবং ভোমরিয়াঘোনা বিট এরিয়ায় রিজার্ভে তারা পারিবারিকভাবে একসাথে পাকা বাড়ী নির্মান করতেছে। যে বিট অফিস বাধা দেয় মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাকে ম্যানেজ করে। এবং বনবিভাগের উর্ধতনদের ম্যানেজ করার জন্যে ইসলামপুরের প্রভাবশালী এক পাহাড়খেকো সিন্ডিকেটকেও দিয়েছে মোটা অংকের টাকা।
সরেজমিনে জানা যায়, ফকিরা বাজারের উত্তর-পূর্ব পার্শের যে স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ হচ্ছে সে জায়গাটি ঈদগাঁও রেঞ্জ এবং ফুলছড়ি রেঞ্জের সীমানায় অবস্থিত। দুই রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা একে অপরের এরিয়া বলে নিজেদের আড়াল করে রাখছে। এবং উত্তর বন বিভাগের সার্ভেয়ার ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বলেন জায়গাটি ঈদগাঁও মৌজায় তথা ভোমরিয়াঘোনা বনবিট এরিয়ায় অবস্থিত আবার ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বলেন জায়গাটি জঙ্গল খুটাখালী মৌজায় তথা নাপিতখালী বনবিট এরিয়ায়। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায় প্রতিবেদককে জানান, জায়গাটি যে এরিয়ায় হোক না কেনো, কাউকেই বন বিভাগের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। অবৈধ দখলদারের বিরোদ্ধে আমরা বন বিভাগীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো দ্রুত।
উল্লেখ যে, জায়গাটি ২০০৭-০৮ সালে নাপিতখালী বনবিটের বরাদ্ধকৃত সামাজিক বনায়ন প্লট ছিলো। প্লট নং-০১।
আপনার মতামত লিখুন :