আতাউর রহমান, মেহেরপুরঃ ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে মেহেরপুর জেলার টক অফ দা টাউন, হট নিউজ আলোচিত নিলুফার ইয়াসমিন রুপা ওরফে রুপা মনি হয়েছেন প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক। রুপা মনির বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি অপকর্মের বিরুদ্ধে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন সূত্র থেকে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এই বহুরুপী রুপামনি তার উচ্চবিলাসী স্বপ্ন পূরণে বাঁকা পথের সব রাস্তায় যেন সে পথ চলছে। তার অন্যতম সহযোগী হিসাবে শ্যামপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যাবসায়ী, খুনি, চাঁদাবাজ স্বীকৃত মোঃ আমিরুল ইসলাম পিতা মৃত আরমান আলী গ্রাম শ্যামপুর ইউনিয়ন থানা ও জেলা মেহেরপুর। রুপা মনির সহযোগী হিসেবে সে অনেক দিন ধরে কাজ করছে। সে শ্যামপুর অত্র এলাকার খুনি দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী, মাদক পাচার, অপহরণ চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
রুপা মনির স্বামী শ্যামপুর নিবাসী মিঠুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্ত্রাসী আমিরুল। সেই সূত্রেই রুপা মনির সাথে আমিরুলের সম্পর্ক তৈরি। মেহেরপুর থানায় সন্ত্রাসী আমিরুলের নামে ১৫/২০টি অভিযোগ, এজাহার এবং নিয়মিত মামলা আছে। আমিরুল এলাকাবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি হুমকির মাধ্যমে জিম্মি করে রেখেছে। রাত্রিবেলায় ওই এলাকার মানুষ তার ভয়ে ভীত হয়ে থাকে। মেহেরপুরের শ্যামপুর গ্রামে রুপা মনির নুতন ব্যবসার পাঁচটি গরুর ফার্ম, একাধিক মৎস্য খামার গুলি ওই সন্ত্রাসী আমিরুল পরিচালনা করে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, আমিরুলের সাথে ভারতের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ রয়েছে। সে তাদের মাধ্যমে মাদক ও অস্ত্রের অবৈধ ব্যবসা করে। রুপা মনি তার নেটওয়ার্ক বাড়াতে আমিরুলের মাধ্যমে আরো সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরদের পরিচয় ঘটে। তাদের অন্যতম মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন পিতা মৃত হোসেন গ্রামঃ গাংনী সে ২০ থেকে ২৫টি মাদক মামলার আসামি। মোঃ রাসেল পিতা মোঃ বশির গ্রাম ইউনিয়ান কুতুবপুর ২০ থেকে ২৫টি মামলার আসামি মিনারুল ইসলাম মোশারফ হোসেন শ্যামপুর মাঠপাড়া পাঁচ থেকে সাতটি মামলার আসামি মোঃ শামিম পিতা পাঞ্জাবি ডাক্তার পাড়া শ্যামপুর থেকে ২০টি মামলার আসামি মোঃ আল-আমিন উত্তর শালিকা ইউপি কুতুবপুর ১০ থেকে ১২টি মামলার আসামি এদের সকলের সাথে আমিরুল ও রুপা মনির সব সময় যোগাযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চলছে। ইতোপূর্বে আমিরুলের বিষয়ে মেহেরপুর দৈনিক পত্রিকাসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়।
এছাড়াও প্রশাসনে একাধিক অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ক্ষমতার কারণে এই আমিরুল বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়। এখনো কোন পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে মেহেরপুর বাসীর মনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন।