• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

মৃত্যুমুখে কিশোর, নিরব প্রশাসন, দায়িত্বহীন নাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলররা


প্রকাশের সময় : জুলাই ১৪, ২০২২, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন / ২৩৮
মৃত্যুমুখে কিশোর, নিরব প্রশাসন, দায়িত্বহীন নাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলররা

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, নারায়নগঞ্জঃ স্থানীয় মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুমুখে ঢলে পরছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ড এর গোদনাইল নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা চা দোকানী মোঃ নজির এর ছেলে কিশোর আরমান(১৮)। ছুঁরিকাঘাতে কিডনির পর্দা ছিরে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে অনবরত ব্লিডিং এ প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী সে। অর্থের অভাবে মিলছে না সুচিকিৎসা, প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরাধীরা।

জানা গেছে, গত ২৫ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাড়ির হেল্পার একই এলাকার বাসিন্দা আরমান ও আব্দুল গফুর এর ছেলে রাকিব(১৮) কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভূইয়াপাড়া রেললাইন পুলে পৌঁছলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী কাশেমের ছেলে ফারুক, আলী হোসেনের ছেলে আবীর, বিআরটিসির বাবুলের ছেলে শুভ ও পায়েল তাদের গতি রোধ করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে তারা বাঁধা দেয়। এতে ছিনতাইকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে দু’জনকে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আরমান ও রাকিবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

সেই সময় চিকিৎসা শেষে রাকিব সুস্থ হয়ে উঠলেও আরমানের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসক জানায়- ছুঁরির আঘাতে তার কিডনির পর্দা ছিরে গিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে।

গত ১৮ দিন যাবত আরমানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করে প্রায় নিঃস্ব তার দরিদ্র পরিবার। তাদের পক্ষে ছেলের উন্নত চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা কষ্টকর। ফলে অনবরত ব্লিডিং নিয়ে সুচিকিৎসার অভাবে প্রায় মৃত্যুমুখে কিশোর আরমান।

এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও অদ্যাবধি আসামী গ্রেপ্তার করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি দায়িত্বরত পুলিশ। ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ- নানা টালবাহানায় দীর্ঘ ১৮ দিন যাবত বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে এসআই রাজ্জাক ও তার আগের দায়িত্বরত এসআই।

আহত আরমানের বাবা মোঃ নজির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- ‘আমার চায়ের দোকানের আয়ে সংসার চলেনা, ফলে ছেলেটিকে বাসের হেল্পারি কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ছিনতাইকারীদের হামলায় সে এখন মরতে বসেছে। অথচ ঘটনার ১৮ দিন হয়ে গেলেও পুলিশ নানা টালবাহানা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে না, এমনকি আমাদের ৭ নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর বা কাউন্সিলর রিপন এবং আসামীরা যে এলাকায় বসবাস করে, সেই এলাকার (১০ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর খোকনও আমার ছেলের বিষয়ে কোনো খোঁজখবর নেয়নি। অথচ আমরা তাদেরকে ভোট দেই আমাদের ভাল-মন্দ দেখার জন্য। চোখের সামনে ছোট্ট ছেলেটির কষ্ট দেখতে হচ্ছে। কেউ এগিয়ে আসছে না এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়াতে। আমি এই অপরাধীদের সঠিক বিচার চাই।