মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে জোর পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে । মঙ্গলবার গর্ভির রাতে শহরের উত্তর ইসলামপুরে টিনের ভেড়া দিয়ে বিরোধকৃত জমি দখলে নেয় ভূমিদস্যু চক্রটি। এর আগে গত ১৭ নভেম্বার একই ভাবে জোর পূর্বক জমিটিতে দেয়াল নির্মান করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে পরে সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে দখল কারিদের দখল কাজ বন্ধ করে চলে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে শালিসী হলে দখল কারীরা উপযুক্ত কাগজ দেখাতে না পেরে ৫ ডিসেম্বার পর্যন্ত সময় নিয়ে দ্বিতীয় দফা মঙ্গলবার দিবাগত গর্ভির রাতে আবোর টিনের ভেড়া দিয়ে জমিটি দখলে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,উত্তর ইসলামপুর বাসিন্দা মৃত ইছব চৌকিদারের একমাত্র ছেলে আলকাস চৌকিদার ও দুই মেয়ে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির মালিক হন আক্কাস মিয়া। পরে সেই জমি দখলে রেখে ১৯৬৯ সালে আক্কাস মিয়ার একমাত্র ছেলে হানিফকে ৪৬ শতাংশ জমি হেবা দলিল করে দিয়ে যান। যার সি এস-৫৩১ আর এস ৩৪৩৫। তার নিজ নামে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোঃ হানিফ মিয়া খাজনা পরিশোধ থাকলেও অভিযুক্ত পাশ্ববর্তি এলাকার মৃত হাজী আশরাফ আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন জমির মালিক মোঃ হানিফ মারা গেলে সেই জমি কৌশলে নিজেদের নামে গোপনে নামজারি করে নেয়। পরে তারা এতদিন সেই জমি জোর করে দখলে রাখে। বিগত দুই মাস পূর্বে জমির ওয়ারিস সূত্রে প্রকৃতি মালিক মোঃ হানিফের দুই ছেলে মোঃ আওয়াল ও হেলাল মুন্সীগঞ্জ আদালতে রেকর্ড শংশোধণী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা চলমান থাকা কালিন ভূমিদস্যু আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন জোর করে মঙ্গলবার দিবাগত গর্ভীর রাতে সেই জমি দখলে নেয়ার জন্য টিনে ভেড়া নির্মানের করে।
জমির মালিক মৃত মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে আওয়াল ও হেলাল বলেন, আমাদের দাদা আক্কাস মিয়া ১৯৭৮ সালে জমিটি চাষাবাদ করার শর্তে আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনেরর বাবা হাজী আশরাফ আলীকে বর্গা দেয় । পরে আমাদের দাদা মারা যাওয়ার পূর্বে আমাদের বাবা হানিফ মিয়াকে হেবা দলিল করে দিয়ে যান। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমাদের বাবার নামে খাজনা পরিশোধ রয়েছে। পরে আমাদের বাবা হানিফ মিয়া মারা গেলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের নামের সাথে কিছুটা মিলের কারনে দখলবাজরা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি গোপনে হাজী আশরাফ আলীর দুই ছেলে আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন তাদের নামে নামজারি করে নেয়। পরে আমরা বিভিন্ন ভাবে দখল কৃত জমি ছেড়ে দিতে বললে তারা জমি না ছেড়ে আমাদের প্রণন্বাশের হুমকি প্রদান করে। মঙ্গলবার গর্ভির রাতে সেই জমি দখলে নিয়ে টিনের ভেড়া দেয়া। বিরোধকৃত জমিটি নিয়ে ইতুমধ্যে রেকর্ড শংশোধন চেয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। যার মিস কেস নং ৩৩/২১। তাদের কাছে জবাব দেয়ার মত কোনো কাগজ নেই বলে এখন বিএনপির চিহৃিত ক্যাডারদের নিয়ে জোর করে জমি দখলে রাখার পায়তারা করছে । দখলের বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দখলদার আলাল উদ্দিন জানান, এটি আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। তাছাড়া আমাদের পক্ষে আদালতের রায় রয়েছে। তারা যেহেতু মামলা করেছে, তাই আদালত তাদের পক্ষে রায় দিলে তারা জমি পাবে। এতে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর রাতের অন্ধকারে নয়, তারা বুধবার সকালে টিনের বেড়া দিয়েছেন বলে দাবী করেছে আলাল উদ্দিন।
সদর ফাড়ির এস আই ওবাইদুল জানান, আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে, তবে তাদের দুই পক্ষকে সদর ফাড়িতে এনে বলছি এটা কোটের বিষয় আপনারা দুই পক্ষ মিলে কোটে গিয়ে ঝামেলা শেষ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :