• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ইউপি মেম্বারের ছত্রছায়ায় চলছে অবৈধ ইলিশের রমরমা ব্যবসা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২৩, ৭:৪২ অপরাহ্ন / ১০৩
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ইউপি মেম্বারের ছত্রছায়ায় চলছে অবৈধ ইলিশের রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জঃ মা ইলিশ রক্ষা করি ইলিশ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি। মা ইলিশ ধরবো না মাছের অভাব হবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণ ২০২৩ অভিযানকে সামনে রেখে ১৮ ই অক্টোবর ২০২৩ ইং হইতে ২ রা নভেম্বর ২০২৩ ইং পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা ক্রয় বিক্রয় মজুদ পরিবহনসহ ইলিশ মাছ কেন্দ্রিক সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইহা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এ সময় মা ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে এসে ডিম পাড়ে, ইলিশের ডিম পাড়ায় কোন বাধা সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্য এ ব্যবস্থা করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ইলিশ রক্ষায় রাতদিন অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক দপ্তর, গণমাধ্যম কর্মী, ও দেশের সচেতন নাগরিকরা।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, লোভী ব্যক্তিরা অবৈধ অর্থের লোভে অসাধু জেলেদের দিয়ে, রাতের আধারে মাছ ধরিয়ে তা বিক্রি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে মদদ দিচ্ছে কিছু নামধারী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ নদীর তীর ঘেষা গ্রামগুলির (ইউপি) ওয়ার্ড মেম্বাররা। এমনই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে মুন্সিগঞ্জের গাওদিয়া ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার সেলিম বেপারীর বিরুদ্ধে।

সেলিম মেম্বার ও তার বাহিনী নিয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ ২০২৩ ইং এ অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদসহ হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। সেলিম মেম্বারের বিরুদ্ধে এর আগে তার বাড়িতে অবৈধ অটো রিক্সা উদ্ধারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে পরিচয় গোপন রেখে এলাকাবাসী জানান।

এমনই এক ঘটনা সাক্ষী ১৯ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক চারটার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে। ডোহরীর ওস্তাগার পল্লী থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে টঙ্গিবাড়ি শুবচুনির উদ্দেশ্যে একটি অটো রিক্সা রওনা হয়েছে। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে, গাওদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বুরুদিয়া বাজারের অনতিদুরে মৎস্য অফিস ও গণমাধ্যম কর্মীরা গাড়িটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। মাছ বহন করা ব্যক্তিরা পালিয়ে গেলে, উদ্ধার করা মাছ নিয়ে একটি মিশুক রিক্সায় তুলে লৌহজং উপজেলা পরিষদে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় গণমাধ্যম কর্মীদের মুঠোফোনে সেলিম মেম্বারের হুমকি-ধামকি, বাংলা সাথী পত্রিকার রিপোর্টারের বাসায় পাঠানো হয় তার গুন্ডা বাহিনী। বিষয়গুলো লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লৌহজং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করলে সঙ্গে সঙ্গে সেলিম মেম্বারকে ডেকে আনেন। পরবর্তীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবেন না বলে ওয়াদা করলেও থেমে নেই তার অবৈধ ইলিশ বাণিজ্য।