নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গত ১২ ডিসেম্বর লৌহজংয়ে অসহায় একটি পরিবার অবরুদ্ধ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখেন লৌহজং উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয়দের সমন্বয়ে দেয়াল ভেঙে অস্থায়ী ভাবে একটি রাস্তা বের করে দেন। এবং বাড়ির জায়গার মূল কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বললেও এ যাবৎ কাল পর্যন্ত কোন কাগজপত্র নিয়ে আমির হোসেন ও তার পরিবার হাজির হননি।
কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায় আমির হোসেনের পরিবার, এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়। লৌহজং টেউটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রঞ্জু মোল্লা ও বাদ যাচ্ছেন না আমির হোসেনের অপপ্রচারের বিষয়বস্তু থেকে।
পরবর্তীতে দেলোয়ার হোসেন বেপারীর লিখিত আবেদনের পরিপেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সকাল ১১ টার সময় লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইলিয়াস শিকদার, সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের জন্য বলেন। সবাই তার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করলে ও পূর্বে অভিযোগকারী আমির হোসেন ও তার পরিবার প্রশাসন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সুন্দর সিদ্ধান্তে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার বলেন, আমার বের হওয়ার জায়গা বের হয়েছে তবে সকলের কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে সিমানা নির্ধারন করে দেয়ার জন্য প্রশাসনকে জানালে, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইলিয়াস শিকদার, ভুক্তভোগী পরিবার সহ জমির সকল মালিককে মুলকাগজপত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলেন যাতে একটু সময় নিয়ে হলেও সুন্দর ভাবে সকলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে যার যতটুকু জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রঞ্জু মোল্লা বলেন এই জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০-২৫ বার সালিশ হয়েছে এবং সুষ্ঠু সমাধান করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। এই বিচার ব্যবস্থায় বিভিন্ন লোকজন, চেয়ারম্যান ও আমি সহ উপস্থিত থেকে যাতায়াতের জন্য একটা রাস্তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বিক্রি করে দেয় তখন আমির হোসেন কে প্রশ্ন করা হয় রাস্তা বিক্রি করলে বের হবেন কি ভাবে, আমার প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, হেলিকপ্টার দিয়ে বের হব। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে জড়িয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলায় আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছি । আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন একজন ব্যক্তির রোষানল থেকে মুক্তি চাই। আমির হোসেন শেখের ছেলে কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সেখানে আমাকে নিয়ে কিছু বাজে মন্তব্য করেছেন যা কোনটারই সত্যতা নেই।
এ বিষয়ে আমির হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন এবং বলেন আমি গত ১৫ ই ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমার সকল কাগজ জমা দিয়ে আসছি।
আপনার মতামত লিখুন :